জীবনযাপন

সন্তানকে বন্ধুদের নিগ্রহ থেকে রক্ষা করবেন কিভাবে

0
chld3

শিশুদের একটি বড় অংশকে প্রায়ই স্কুল বা বন্ধু মহলে নানাভাবে উত্যক্ত করা হয়। শুধু স্কুলেই নয়, খেলার মাঠ বা গৃহশিক্ষকের কাছে পড়তে গিয়েও সহপাঠী, খেলার সঙ্গীদের কাছে হেনস্থা হতে হয় অনেককে। এই ধরনের উৎপীড়নকে বাল্যকালের ভ্রান্তি বলে এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ছোটবেলায় এ ধরনের হেনস্থার শিকার হতে হতে শিশুদের বুদ্ধি ও মনোবৃত্তিতে দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। কিন্তু কিভাবে সামলাবেন এই সমস্যা?

উজ্জীবিত করুন সন্তানকে

অনেক ক্ষেত্রেই শিশুর আত্মবিশ্বাসের অভাবকে কাজে লাগিয়ে হেনস্থা করে সহপাঠীরা। প্রথমেই শিশুর সাহস জোগান। সাহস দিয়ে বলুন যে আপনি সবসময় তার পাশে আছেন। তাছাড়া, শুধু নিজের সম্মান রক্ষা নয়, অন্যের সম্মান রক্ষা করার শিক্ষাও দিতে হবে ছোট থেকেই।

সন্তানের সঠিক শিক্ষা

নিগ্রহ কিভাবে আটকাতে হবে, তা স্বাভাবিক ভাবেই জানে না আপনার খুদেটি। তাই হয়তো ঠিক মতো প্রতিবাদ করে উঠতে পারে না। আর কিছু বলতে পারে না বলেই আরও বেশি করে চেপে ধরে সঙ্গীরা। প্রথমেই তাকে শেখাতে হবে, এই নিগ্রহ বন্ধ করতে হলে কি কি করা যেতে পারে। অনেক সময়ে স্পষ্ট কথায় প্রতিবাদ করলেই বন্ধ হয়ে যেতে পারে নিগ্রহ। তবে প্রতিবাদের ভাষা এবং ‌ভঙ্গি যেনো কুরুচিকর না হয়, তাও দেখতে হবে।

সন্তানের মনের কথা শোনা

ছোটরা প্রায় সময়েই সমস্যার কথা মুখ ফুটে বলতে পারে না। ফলে উৎপীড়নের ঘটনা জানতে পারেন না বাবা-মা। নির্যাতনের ঘটনাগুলি দিনের পর দিন চাপা পড়ে থাকলে শিশু মনে দীর্ঘমেয়াদী চাপ হতে পারে। নিয়মিত সন্তানের দৈনন্দিন কার্যকলাপের খোঁজ নিন। সন্তান ভয়ে চুপ থাকলে, তার বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ করে খবর নিন।

শিক্ষা হোক খেলার ছলে

এমন হতেই পারে যে সন্তান বাস্তবে উৎপীড়নের সম্মুখীন হলে ভয়ে গুটিয়ে যায়। এই সমস্যার মোকাবিলায় খেলাচ্ছলে বাস্তব পরিস্থিতির অনুশীলন করুন সন্তানের সঙ্গে। এর ফলে সন্তান বাস্তব পরিস্থিতিতে দমে যাবে না। তবে সব সমস্যার সমাধান এভাবে হয়ও না। সেক্ষেত্রে পরামর্শ নিতে হবে বিশেষজ্ঞদের।

রান্নায় তেলের ব্যবহার কমাবেন যেভাবে

Previous article

রান্নার কাজে ব্যবহৃত পানির অপচয় রোধ

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *