উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা সফল উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে চান আরিফা আক্তার By নিজস্ব প্রতিবেদক April 21, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, নিজের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন আরিফা আক্তার। চলুন শুনি তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প। আমি আরিফা আক্তার। আমার জন্ম নারায়ণগঞ্জ জেলায়। বড় হয়েছি নারায়ণগঞ্জ জেলাতে। ভার্সিটি জীবন কেটেছে ঢাকায়। বেশ কয়েক বছর ঢাকায় ছিলাম। বর্তমানে নারায়ণগঞ্জ থাকি। মহামারীতে সব কিছু পরিবর্তন হয়ে যায়, ভার্সিটি, সাধারণ জীবন যাত্রা ইত্যাদি। ভার্সিটি বন্ধ হওয়াতে তেমন কাজ নেই। শখের বসে টুকটাক ক্রাফটস এর কাজ করতাম। হঠাৎ ফেইসবুকে স্ক্রল করতে করতে অনেক বিজনেস গ্রুপ দেখতে পাই। এরপর একটা গ্রুপে জয়েন করি সবার কাজ দেখি। আমি মুগ্ধ হই। এরপর মনে হলো আমি আমার ক্রাফটস দিয়ে বিজনেস করতে পারি। সেখান থেকেই ব্রাইডাল পেন নামে নতুন এক ধরণের কলম বানাই সেল করার জন্য। এখন আমি শাড়ি, পাঞ্জাবী, থ্রীপিস, মার্বেল পাথরের রুটি বেলা পিড়ি, মার্বেল পাথরের হামান দিস্তা এবং ব্রাইডাল পেন নিয়ে কাজ করছি। আমার শুরুটা খুব অমসৃণ ছিলো। টাকা ছিলো না তেমন হাতে। টিউশনি করাতাম টুকটাক। টিউশনির ৫০০ টাকা দিয়ে উদ্যোক্তা জীবন শুরু করি। আমি মনে করি উদ্যোক্তা হতে প্রবল ইচ্ছাশক্তি, মূলধন, ধৈর্য্য, পরিশ্রম, সততা এবং সাধনা দরকার। আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো কর্মী নেই। নিজেই সব সামলাই। আমি নিজের মতো কাজ করতে ভালোবাসি। নতুন নতুন আইডিয়া যোগ করতে খুব পছন্দ করি। স্বাধীনতা জিনিস টা খুব টানে আমাকে এজন্য চাকরির পেছনে না ছুটে বিজনেস জগতে প্রবেশ করেছি। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “অনুপমা ক্রাফটস”। অনুপমা মানে সবার মাঝে অন্যন্যা। এই আইডিয়া থেকেই অনুপমা নামকরণ। আমার প্রতিষ্ঠান দুটি বিষয়ে ছাড় দেয় না কখনো, পণ্যের মান এবং সততা। আমি মনে করি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বেশ উপযোগী। কেননা যে পেশাতেই যাই না কেনো বাসার দায়িত্ব নারীদের ই নিতে হয়। উদ্যোক্তা স্বাধীন পেশা, এখানে নিজের মনের মতো কাজ করা যায়। উদ্যোক্তা একটি চ্যালেঞ্জিং পেশা। প্রতিনিয়ত অনেক প্রতিবন্ধকতার স্বীকার হতে হয়। যেমন- ডেলিভারি সার্ভিস নিয়ে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয়, অনেক জায়গায় হোম ডেলিভারি চায়। কিন্ত সদর ছাড়া হোম ডেলিভারি দিতে পারিনা। এছাড়া কিছু পণ্যে ডেলিভারি চার্জ তুলনামূলকভাবে বেশী এজন্য অর্ডার কেন্সেল হয়ে যায়। তাছাড়া অনেক সময় পণ্য নষ্ট হয়ে যায় ডেলিভারি সার্ভিস এর জন্য। তখন ক্ষতিটা নিজেকে পুষিয়ে নিতে হয়। আলহামদুলিল্লাহ সেল মোটামুটি। আমার ক্রেতারা পণ্য পেয়ে সব সময় সন্তষ্ট। এখন পর্যন্ত কোনো ক্রেতা কোনো অভিযোগ দেয় নি পণ্য নিয়ে। আমার প্রতিষ্ঠানের যথেষ্ট সুনাম আছে আলহামদুলিল্লাহ। এজন্য রিপিট ক্রেতার সংখ্যা বাড়ছে। আমার প্রতিষ্ঠান কে আমি আন্তর্জাতিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে চাই এবং অনেক কর্মী নিয়ে কাজ করতে চাই। সারা বিশ্বে ছড়িয়ে দিতে চাই আমার পণ্য। পাঁচ বছর পর নিজেকে সফল একজন উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views