বিজ্ঞান

সবচেয়ে বড় ‘বস্তুর’ সন্ধান মিললো মহাকাশে

0
space

আমাদের এই ইউনিভার্স ১,৩৮০ কোটি বছরের পুরনো। এর মধ্যে পদে পদে বিস্ময়। তবে সাম্প্রতিক এক বিস্ময়ে হতবুদ্ধি হয়ে গিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহল। হতবাক সাধারণ মানুষও। খোঁজ মিলেছে স্পেসের ‘দ্য বিগেস্ট সিঙ্গল এনটিটি’র। সেটি হলো ‘হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল’। এটিকেই এখনও পর্যন্ত মহাকাশের সব চেয়ে বড় বস্তু বলে চিহ্নিত করা গিয়েছে।

শুধু একটি হিসেব শুনলেই মাথা ঘুরে যাবে কতো বড় এটি! এই ‘হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল’কে অতিক্রম করতে আলো সময় নেয় ১,০০০ কোটি বছর! মহাকাশ মানেই অবশ্য সব বড়সড় ব্যাপার। আর আপাতদৃষ্টিতে পৃথিবীই আমাদের কাছে ঢের বড় ব্যাপার। কিন্তু মহাকাশের নিরিখে পৃথিবী একটা সামান্য ব্যাপার। বৃহস্পতি হলো এক দৈত্য গ্রহ। যার মধ্যে ১,৩০০ পৃথিবী ঢুকে পড়তে পারে! আবার এহেন বিপুল বৃহস্পতি সূর্যের কাছে সামান্যই।

সূর্য আক্ষরিক অর্থেই এক বিপুল ব্যাপার। অথচ, এই সূর্যও এক অতি সামান্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায় ‘ইউওয়াই স্কুটি’র মতো অতিদৈত্যাকার এক নক্ষত্রের কাছে। এর মধ্যে ১,৭০০ সূর্য ধরে যায়! এটি সূর্যের ৩০ গুণ। কিন্তু এই ‘ইউওয়াই স্কুটি’ ব্ল্যাকহোলের কাছে স্রেফ নস্যি। ব্ল্যাকহোল এক সুপারম্যাসিভ জিনিস। আর এখনও পর্যন্ত চিহ্নিত করা সব চেয়ে বড় যে ব্ল্যাকহোলের সন্ধান মিলেছে, সেটি হলো ‘এনজিসি ৪৮৮৯’। এটি আমাদের সূর্যের চেয়ে কয়েকশো গুণ ভারী। ভারীত্বই এর বিশালত্ব।

কিন্তু এ সবের চেয়েও বড় ব্যাপার হলো ওই হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল। আমাদের আকাশগঙ্গা রয়েছে এরই মধ্যে! আকাশগঙ্গা ১ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা। তবে সবচেয়ে বড় যে আকাশগঙ্গার খোঁজ মিলেছে, সেটি ৪০ লক্ষ আলোকবর্ষ লম্বা। এই সব হিসেবনিকেশ থেকে এটা অতএব স্পষ্ট যে, এই হারকিউলিস-করোনা বোরিয়ালিস গ্রেট ওয়াল কী বিশাল বিপুল বস্তু!

এটি আসলে দুটি নক্ষত্র ও তাদের মধ্যেকার স্পেসকে নিয়ে একটি কম্পোজিট বডি। অন্যভাবে বললে, এটি হলো অনেকগুলো গ্যালাক্সির পুঞ্জ। পোশাকি ভাষায় ‘সুপারক্লাস্টার অফ গ্যালাক্সিজ’।

সূত্র: জি নিউজ

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ, পাসের হার ৯৫.২৬ শতাংশ

Previous article

মাত্র এক ঘণ্টার প্রস্তুতিতে আইপিএল নিলাম এর দায়িত্ব নেন চারু

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *