জাতীয়রাজনীতিসারাদেশ

সব বিষয়ে মতামত দিতে গিয়ে বিএনপি খেইহারা: তথ্যমন্ত্রী

0
received 663998901413763

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, জাতিসংঘে কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ ভোটদানে বিরত ছিলো। ভারতও বিরত ছিলো। সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে খেইহারা বিএনপির মহাসচিব কি ভারতের বিরত থাকার ব্যাখ্যাও দেবেন- প্রশ্ন রাখেন তিনি।

শনিবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম থেকে ভার্চুয়াল পদ্ধতিতে যুক্ত হয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ প্রেক্ষাগৃহে ১৫তম আন্তর্জাতিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির বক্তৃতা শেষে স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা দেন।

বিএনপি মহাসচিবের মন্তব্য ‘জাতিসংঘে রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিন্দাপ্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকা সংবিধান লংঘন’ এ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘জাতিসংঘে বাংলাদেশসহ সকল দেশই বিভিন্ন সময়ে অনেক ক্ষেত্রে ভোটদানে বিরত থাকে। এবার যখন জাতিসংঘে এই প্রস্তাব আনা হয়, তখন ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশ ভোটদানে বিরত ছিলো। মির্জা ফখরুল সাহেবের কাছে আমার প্রশ্ন– ভারত কেনো ভোটদানে বিরত ছিলো সেটিরও একটি ব্যাখ্যা যদি তিনি দেন।’

বিএনপিনেতারা আসলে সব বিষয়ে মতামত দিতে দিতে কোনটাতে কি বলবেন খেই হারিয়ে ফেলেন উল্লেখ করে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী  বলেন, ‘আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সাথে বন্ধুত্ব। এবং আমরা অবশ্যই যে কোনো সংঘাতের বিরোধী। পৃথিবীতে শান্তি স্থাপিত হোক, শান্তি বিরাজ করুক সেটিই আমরা চাই।   কৌশলগত কারণে বাংলাদেশ জাতিসংঘে ভোটদানে বিরত ছিলো। ভারতও বিরত ছিলো।’

এসময় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ড. হাছান বলেন, ‘চল্লিশের দশকে যখন বাংলায় দুর্ভিক্ষ হয়, তখন এক আনা অর্থাৎ ১৬ পয়সায় কয়েক কেজি চাল পাওয়া যেতো। অর্থাৎ দেখতে হবে, দ্রব্যমূল্যের সাথে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে কি না। গত ১৩ বছরে দেশের মানুষের মাথাপিছু আয় বেড়েছে প্রায় সাড়ে চারগুণ আর নিম্নআয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতা বেড়েছে প্রায় তিনগুণ, মধ্যম আয়ের মানুষের ক্রয়ক্ষমতাবৃদ্ধিও এমনই। তাছাড়া ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর তুলনায় দেশে ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি হার অনেক কম।’

এর আগে চলচ্চিত্র উৎসব উদ্বোধনকালে মন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের ঠিকানায় দেশকে পৌঁছে দিতে বস্তুগত উন্নয়নের সাথে প্রয়োজন আত্মিক ও মানবিক তথা জাতিগত উন্নয়ন। আর শিশুতোষ চলচ্চিত্র শিশু-কিশোরদের মেধা-মনন-দেশপ্রেম-মমতার বিকাশ ঘটিয়ে জাতিগত উন্নয়নে বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ধারাবাহিকভাবে শিশুতোষ চলচ্চিত্র উৎসব আয়োজকদের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান ড. হাছান।

বিশেষ অতিথির বক্তৃতায় প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, আজকের শিশু চলচ্চিত্র নির্মাতাই হতে পারে আগামীর জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনের চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী। আজকের শিশু-কিশোররাই আগামীর বাংলাদেশ গড়বে, তার প্রস্তুতির জন্য এমন আয়োজন অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

‘চিল্ড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ’ সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবালের সভাপতিত্বে উৎসব উপদেষ্টা চলচ্চিত্রকার মোরশেদুল ইসলাম, ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মো: নিজামুল কবীর, উৎসব পরিচালক তরুণ চলচ্চিত্রকার শাহরিয়ার আল মামুন অনুষ্ঠানে তাদের বক্তৃতায় উৎসবের নানাদিক তুলে ধরেন।

ফিল্ম আর্কাইভে সপ্তাহব্যাপী এ উৎসবে শিশু-কিশোরদের নির্মিত ও শিশু-কিশোরদের জন্য নির্মিত ৩৮ টি দেশের ১১৭ টি চলচ্চিত্র সকাল ১১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত উন্মুক্তভাবে প্রদর্শিত হচ্ছে।

খেলাধুলার জন্য ড্যাপে প্রয়োজনীয় মাঠ রাখা হয়েছে: স্থানীয় সরকার মন্ত্রী 

Previous article

উচ্চমূল্যের পোশাক রপ্তানিতে নজর দেয়ার আহ্বান এফবিসিসিআই সভাপতির

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *