উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা সমালোচনা কে পাত্তা না দিয়ে নিজ উদ্যমে এগিয়ে চলছেন আরজুমান আক্তার By নিজস্ব প্রতিবেদক July 18, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, নিজের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন আরজুমান আক্তার। চলুন শুনি তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প। আমি আরজুমান আক্তার, ঢাকার মেয়ে। আমার জন্ম এবং বেড়ে ওঠা ঢাকাতেই। নিজে কিছু করার ইচ্ছে ছিলো অনেক আগে থেকেই, বড় আপুর পরামর্শে ২০২১ সালে ‘উই’ তে যুক্ত হই। আপুর উৎসাহ আর অনেক টা শখ থেকেই অনলাইন বিজনেস শুরু করা, সেই সাথে ‘উই’ পরিবারের বিভিন্ন উদ্যোক্তা আপুদের বিভিন্ন রকমের প্রতিবন্ধকতাকে জয় করে এগিয়ে যাওয়ার গল্পগুলো আমার সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। টুকটাক রান্না করতে আমার ভালো লাগে তাই আমি হোমমেইড খাবার, শীতকালীন পিঠা, মাস্ক, মেয়েদের পোশাক ও জুয়েলারি আইটেম নিয়ে কাজ করছি। আমার উদ্যোগের নাম “বাজেট ফ্রেন্ডলি”। বড় আপু ব্যতীত পরিবারের সবার অজান্তেই আমার উদ্যোগ শুরু করা। ভালো একটি চাকরি হোক সেটাই ছিলো পরিবারের প্রথম পছন্দ। কিন্তু মেয়ে হয়ে অনলাইন বিজনেস করাটা অনেক কষ্টের, তাই সেটাকে তারা সাপোর্ট করেন না। ধীরে ধীরে মা কে কিছুটা বুঝিয়ে ৩,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে আমার উদ্যোগের যাত্রা শুরু করি। আমার মতে একজন সফল উদ্যোক্তা হতে হলে ধৈর্য্য, বুদ্ধিমত্তা, শক্ত মনোবল আর কঠোর পরিশ্রম করার মনমানসিকতা থাকতে হবে। এখন পর্যন্ত আমার উদ্যোগের সকল কাজ আমি একাই করছি, আলাদা কোনো কর্মী নেই। বর্তমানে চাকরির পিছনে ছোটা মানে সোনার হরিণের পিছনে ছোটা। চাকরির বাজারে এখন ৪/৫ বছরের অভিজ্ঞতা ছাড়া ভালো কোনো চাকরি মিলছে না। পড়ালেখা করে ভালো রেজাল্ট নিয়েও চাকরি না পাওয়ায় অনেকেই হতাশায় ভুগছেন, তাই আমার মতে অন্যের অধীনে চাকরি না করে নিজে নিজে কিছু করাটা অনেক আত্মসম্মানের। আমার উদ্যোগে আমি চাই পণ্যের গুণগত মান সবসময় ভালো দিতে। সাধ্যের মধ্যে সেরাটা দেয়াই হলো আমার উদ্যোগের মূল লক্ষ্য। যারাই আমার ক্রেতা এবং রিপিট ক্রেতা হয়েছেন, তাদের মাধ্যমে বুঝতে পারছি আমি পন্যের মান কতোটুকু ভালো দিচ্ছি। ক্রেতার সন্তুষ্টি নিয়ে এগিয়ে যাওয়াই হলো আমার উদ্যোগের মূল উদ্দেশ্য।আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট বর্তমানে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য অনেকটাই উপযোগী। তাইতো আমার মতো হাজারো নারীরা আজ উদ্যোক্তা হিসেবে নিজেকে নিয়ে এগিয়ে যেতে পারছে। আশেপাশে যারাই আমার উদ্যোগ সম্পর্কে জেনেছে তাদের অনেকেই অনেক রকমের কথা বার্তা বলে। আমি এখন আর ও সব সমালোচনা কে গুরুত্ব দেই না।সেল যা হচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন পর্যন্ত যারাই আমার ক্রেতা এবং রিপিট ক্রেতা হয়েছেন, আলহামদুলিল্লাহ সবাই আমার সার্ভিসে খুব সন্তুষ্ট। সরকারি এবং বেসরকারি কোনো সহযোগিতা এখনো পাই নি। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো, আমার “বাজেট ফ্রেন্ডলি” ক্রেতা সন্তুষ্টি নিয়ে দেশ -বিদেশে পরিচিতি পাক এটাই আমার সব থেকে বড় স্বপ্ন।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231558 views