উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

সাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকেই উদ্যোক্তা হন তাসলিমা সিকদার শান্তা

1
Untitled design 4

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, নিজের উদ্যোগ নিয়ে কথা বলেছেন তাসলিমা সিকদার শান্তা। চলুন শুনি তার উদ্যোক্তা জীবনের গল্প।

আমি তাসলিমা সিকদার শান্তা। জন্ম, শিক্ষা ও বেড়ে ওঠা ঢাকায়। আমি একজন স্বাধীনচেতা মানুষ। তাই খুব ইচ্ছে ছিলো নিজে কিছু একটা করবো। অনেক পরিবারকে সাপোর্ট দিবো, নিজে সাবলম্বী হবো। মূলত এ চিন্তা থেকেই চলে আসা বিজনেসে। আমার আম্মা একজন দক্ষ ও মেধাবী বিজনেস ওমেন ছিলেন। ওখান থেকেই আরো বেশি স্বপ্নটা গেঁথে যায়।

আমার শুরুটা ছিলো ব্লক-বাটিকের থ্রিপিছ দিয়ে। বেশ রমরমা সেল ছিলো। কিন্তু আমার হাজবেন্ডের এক্সিডেন্টে বিজনেস টা আর চালাতে পারি নি।

৩/৪ বছর পর পুনরায় শুরু করলাম দেশি মুরগির খামার দিয়ে এবং হোমমেইড ঘি নিয়ে। বেশ ভালো চলছিলো। এক লাখ টাকার পুঁজি ছিলো। কিন্তু মুরগিগুলো সব মরে গেলো। তারপর আমার উঠে দাঁড়াতে অনেক কষ্ট হয়। পুনরায় ২০,০০০ টাকা দিয়ে আমার ঘি এর বিজনেসটাকে টিকিয়ে রাখি।

তারপর আরো অনেক পন্য যুক্ত করি। রান্নার মশলা, ফ্রেশ কাট, রেডি টু কুক ও গরুর ভুড়ি ইত্যাদি। আমার পেজের নাম প্রথমে ছিলো স্বপ্নিল আকাশ। পরে নাম পরিবর্তন করে নামকরণ করা হয় “টিকেটি উইংস”। যা আমার পরিবারের সদস্যদের নামের প্রথম অক্ষর দিয়ে।

Untitled design 1 2
আলহামদুলিল্লাহ আমি কাঁচা পণ্য সংগ্রহ থেকে শুরু করে কাস্টমার পর্যন্ত সমস্ত কাজ নিজে করে থাকি। এখন আমার এখানে দুজন কর্মী আছে। অত্যন্ত মানসম্মত পণ্য ও পুষ্টিগুণ বজায় রেখে কাজ করে চলেছি। ক্রেতাদের আস্থাই আমার পুঁজি। তাদের সন্তুষ্টি আমার লাভ, আর আমার সেবা হলো আমার আগামী গন্তব্যে পৌঁছার সিঁড়ি।

আমার মূল স্লোগান হলো চাকরি করবো না চাকরি দিবো। কথা টা আমার প্রিয় ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের। আমি স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসি, চ্যালেন্জ নিতে ভালোবাসি এবং পরিশ্রম করতে পারি। চিন্তা শক্তি ভালো, অবজারভেশন পাওয়ার ভালো কাজেই চাকরি আমার জন্য না। তবে বিজনেস অনেক বেশি পরিশ্রমের, তাই ধৈর্য ধারন করে লেগে থাকতে হবে ফেবিকলের মতো।

আরও পড়ুন: প্রতিবন্ধকতা উপেক্ষা করে আজ সফল উদ্যোক্তা রুবিয়া আক্তার

সকল ভাই-বোনদের উদ্দেশ্যে বলবো চাকরির পেছনে না ঘুরে নিজে কিছু করুন। আত্মতৃপ্তি পাবেন, স্বাধীন থাকবেন। নিজের পরিবার কে সময় দিতে পারবেন নিজের মতো করে। জীবন কে উপভোগ করতে পারবেন। স্মার্টলি লাইফলিড করতে পারবেন।

“টিকেটি”র ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা হলো শুধু নিজে একা সাবলম্বী হবে না। সমাজের দুস্ত, অসহায় নারী, বিধবা ও অসহায় বৃদ্ধদের নিয়ে কাজ করবে। অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়াবে। সমাজ কে জাগ্রত করবে, দেশ কে উন্নয়নে এগিয়ে যেতে সাহায্য করবে। বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করবে। এ প্রত্যাশা নিয়েই কাজ করে যাচ্ছে “টিকেটি উইংস”।

শেখ হাসিনা রাজনীতি করেন মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের জন্য: ওবায়দুল কাদের

Previous article

বিশ্ব পর্যটন দিবস আজ

Next article

You may also like

1 Comment

  1. […] আরও পড়ুন: সাবলম্বী হওয়ার চিন্তা থেকেই উদ্যোক্ত… […]

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *