রসুইঘর

সালাদ বানানোর সময় এড়িয়ে চলুন ৫ টি ভুল

0
salad

গরুর মাংস, ভাত, হোক বা চিংড়ির মালাইকারি, ভোজনরসিক বাঙালির পাতে সালাদ না হলে ঠিক চলে না। ইদানীং অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে এক বাটি সালাদেই ভরসা রাখছেন। সালাদ নিয়ে অনেকেরই অনেক ভুল ধারণা থাকে। সব খাবারের সঙ্গে সব রকম সালাদ খাওয়া উচিত নয়। অতিরিক্ত তেল-মশলাযুক্ত খাবারের সঙ্গে সালাদ এড়িয়ে যাওয়াই ভালো।

শুধু তাই নয়, দিনের কোন সময়ে সালাদ খাচ্ছেন সেটিও কিন্তু ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সালাদের উপযুক্ত সময় হল দুপুর বেলা। প্রাতরাশ আর মধ্যাহ্নভোজন মধ্যবর্তী সময়টিই সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত। ওই সময় সালাদ খেলে পেট ভরা থাকে। ফলে খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না। ফলে ওজনও থাকে নিয়ন্ত্রণে। মধ্যাহ্নভোজের আধা ঘণ্টা আগে সালাদ খাওয়াই ভালো।

কিন্তু ঠিকমতো সালাদ বানাতে না জানলে স্বাস্থ্যরক্ষার ক্ষেত্রে হিতে বিপরীত হতে পারে! অনেকেই এক বাটি সালদ খেয়ে ফেলে ভাবেন, স্বাস্থ্যের উপকার হচ্ছে। তবে সেক্ষেত্রে যেনো পুষ্টির অভাব না হয়, সেদিকটিও মাথায় রাখতে হবে। সালাদ খেতে হলে সঠিক নিয়ম মেনে চললে তবেই উপকার পাবেন আপনি।

১) সালাদ বানানোর সময় অনেকেই মেয়োনিজ ও চিজ ব্যবহার করে থাকেন। এই দুই উপাদান খুব বেশি পরিমাণে খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। ফল, সবজি কিংবা মাছ-মাংস-ডিমের সঙ্গে মেয়োনিজ মিশিয়ে খাওয়া মানেই আপনার সালাদে স্বাস্থ্যহানির উপাদান প্রবেশ করছে। সেক্ষেত্রে স্বাদ বাড়ানোর জন্য টক দই বা ‘গ্রিক ইয়োগার্ট’ ব্যবহার করতে পারেন।

২) এছাড়া সালাদে সাদা লবণ, গোলমরিচ, লেবুর রস মেশালে, তার পরিমাণের দিকেও নজর রাখতে হবে। অতিরিক্ত কোনো কিছুই ভালো নয়। সাদা লবনের পরিবর্তে বিট লবন ব্যবহার করাই শ্রেয়। সালাদের স্বাদ বাড়াতে অনেকেই বিভিন্ন রকম ড্রেসিং ব্যবহার করেন। অতিরিক্ত লবন, চিনি যুক্ত সেই সব ড্রেসিং ঠিক কী পরিমাণে ব্যবহার করবেন সে বিষয় সতর্ক থাকুন।

৩) অনেকেই সবজির সালাদ বানানোর সময় সেদ্ধ করে নেন, কিংবা তেলে হালকা ভেজে নেন। এতে সালাদের স্বাদ বাড়লেও পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়।

৪) সালাদের সঙ্গে অনেকেই টোস্ট খান। সালাদের পাতে অতিরিক্ত কার্বোহাইড্রেট যোগ না করাই ভালো। স্বাদ বাড়াতে সালাদে ভাজা তিল কিংবা কুমড়োর বীজ দিতে পারেন।

৫) সালাদের ড্রেসিং এ অলিভ ওয়েল পরিমিত মাত্রায় ব্যবহার করুন। সালাদ সুস্বাদু না হলে অনেকেই খেতে চান না। তাই স্বাদ বাড়াতে বিভিন্ন রকম হার্বস দিতে পারেন।

রাসায়নিকের বদলে ব্যবহার করুন ঘরোয়া কীটনাশক

Previous article

মুসুর ডাল দিয়ে করুন রূপচর্চা

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *