উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

সৃজনশীল কাজের মাধ্যমে নিজেকে সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চান দিলরুবা

1
Untitled design

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা দিলরুবা আফরোজ শাহীনের সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।

আমি দিলরুবা আফরোজ শাহীন। জন্ম ঢাকার তেজগাঁও। আমার নানা তখন তেজগাঁও থানায় কর্মরত ছিলেন। মাঝখানে বাবার কর্মস্থল নারায়ণগঞ্জে ছিলাম। তারপর ঢাকার মালিবাগে বেড়ে উঠা। স্কুল- খিলগাঁও গভর্নমেন্ট হাইস্কুল। কলেজ- সিদ্ধেশ্বরী গার্লস, বি.কম ঢাকা সিটি কলেজ এবং মাষ্টার্স করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে মার্কেটিং এ।

মার্কেটিং থেকে পড়াশোনা করে সবাই ব্যাংক ও অন্যান্য করর্পোরেট জবে ঢুকে গেলো, কিন্ত আমি সবসময় সৃজনশীল কাজ করতে চেয়েছি। কোনো ধরা বাঁধা নিয়মের মধ্যে যেতে চাইনি। পড়াশোনা করা অবস্থায় বিয়ে হয়ে যায়।

আমার মা-বাবা আর আমার স্বামী সবসময় পড়াশোনার ব্যাপারে সাপোর্ট দিয়েছে। আমি বিসিক থেকে পটারি কোর্স করেছি। আমার স্বামী আমাকে নিয়ে যেতো। ব্লক, বাটিক, গ্লাস পেইন্ট এবং বিভিন্ন রান্নার কোর্স করেছি। এছাড়া অনলাইনে স্ক্রিন প্রিন্ট ও হ্যান্ড পেইন্ট কোর্স করেছি। আসলে আমি সবসময় শিখতে চাই।

আমি মূলত কাজ করি আমার নিজের ডিজাইনের সালোয়ার কামিজ, শাড়ী এবং কুর্তি নিয়ে। সাথে আমি হোম ডেকোর নিয়েও কাজ করি। আমি সর্বদা সৃজনশীল কাজ করতে চাই। আমার বুটিক এর নাম ZOYA’s (জয়া’স)। ২০১৩ সাল থেকে আমি আমার বুটিক নিয়ে পথ চলছি। তখন বিভিন্ন মেলা করেছি। আমি অনলাইন ও অফলাইন উভয় ক্ষেত্রেই কাজ করি।

২০১৩ সালে যখন আমি আমার বুটিক ZOYA’s এর ফেসবুক পেইজ খুলি, তখন থেকে আমি অনলাইনে কাজ শুরু করি। সে সময় আমি প্রচুর মেলা করতাম। আর তা থেকেই আমার পরিচিতি বাড়তে থাকে।

প্রথম থেকেই আমার ইচ্ছা ছিলো কারো অধীনে চাকরি করবো না। নিজেই কিছু করবো এবং সৃজনশীল কাজ করবো। শুরুতে মুলধন ছিলো ২,০০০ টাকা। ইসলামপুর থেকে কাপড় কিনেছিলাম। সেই কাপড়ে ব্লক করে সেল করেছি। আমার মা তখন আমাকে অনেক সাপোর্ট দিয়েছে। আমার স্বামী সবসময় আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে এবং দিচ্ছে।

একজন উদ্যোক্তা কে সৃজনশীল হতে হবে। নতুন নতুন চিন্তা ভাবনা করে কাজ করতে হবে। পরিশ্রমী হতে হবে। বর্তমানে আমি ২ জন কর্মী নিয়ে কাজ করছি।

আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট নারী উদ্যোক্তাদের জন্য আগের চেয়ে এখন অনেক বেশি উপযুক্ত হয়েছে। বিশেষ করে গত ২ বছরে ‘উই’ এর কল্যানে, নিশা আপুর সহযোগিতায় দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের নারীরা অনেক বেশি এগিয়ে এসেছে। এই ব্যাপার টা খুবই আশার আলো জাগায়। খুব ভালো লাগে।

সরকারি-বেসরকারি সাহায্য এখনও পাইনি। তবে যেহেতু আমি ‘উই’ তে আছি, ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে পাবো আশা রাখি। প্রতিবন্ধকতা থাকবেই। এরকম প্রতিযোগিতার বাজারে কাজ করতে গেলে প্রতিবন্ধকতা আসবে। আমরা নারী আমরাই পারি। তাই বাঁধাকে দূরে ঠেলে দিয়ে এগিয়ে যাবো সামনের দিকে।

কাস্টমার সন্তুষ্টি আমার অর্জন। যখন আমার ডিজাইনের ড্রেস, শাড়ী কেউ পড়ে ওটাই আমার অর্জন। আমি আমার বুটিকের পরিচিতি বাড়াতে চাই। আগামী ৫ বছর পর আমি চাই দেশ-বিদেশে আমার বুটিক ZOYA’s একটা স্বনামধন্য ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত হোক। আমি নিজেকে একজন সফল নারী উদ্যোক্তা হিসেবে পরিচিত করতে চাই।

ইয়েসবিডি ‘জিরো টু ওয়ান’ প্রজেক্টের প্রথম ব্যাচের ওরিয়েন্টেশন সম্পন্ন

Previous article

ই-ক্যাব এর নব নির্বাচিত ইসি কমিটির দায়িত্ব গ্রহণ

Next article

You may also like

1 Comment

  1. অনেক শুভ কামনা রইল আপুর উদ্যোগের জন্য

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *