উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা

হিজাব দিয়ে যাত্রা শুরু করেন মিতাশা রহমান খান

0
290794915 540491751049745 191417816276891 n

উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‌‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা মিতাশা রহমান খানের সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প।

আমি মিতাশা রহমান খান। জন্ম কুমিল্লা শহরে, বেড়ে উঠা কুমিল্লা শহরেই। স্কুল ছিলো নবাব ফয়জুন্নেসা স্কুল ও কলেজ ছিলো কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজ।

বিয়ে হয় এইচ.এস.সি এর পর পরই, এরপর ঢাকায় চলে আসা। অনার্স পড়া অবস্থায় উদ্যোক্তা জীবন শুরু করেছি। সেই সময় মূলত পরার ফাঁকে অতিরিক্ত কিছু আয় হবে বা অবসর সময় টা কাজে লাগানোর জন্য উদ্যোগ টা শুরু করেছিলাম। আর ধীরে ধীরে সেটা এখন পেশাতে রুপান্তরিত হয়।

আমার উদ্যোগ শুরু করি হিজাব দিয়ে। যেহেতু আমি হিজাব পরি এবং এ নিয়ে আমার ভালো অভিজ্ঞতা আছে, তাই সেটা দিয়েই কাজ শুরু। আমার উদ্যোগ এর নাম “Hijab shop online store” (হিজাব শপ অনলাইন স্টোর)। শুরুটা পুরোপুরি অনলাইন ভিত্তিক হলেও বিগত ৩ বছর ধরে অনলাইন এর পাশাপাশি অফলাইনেও সেল করে আসছি। আমার ছোট একটা অফিস আছে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায়। আর সেখানে ক্রেতারা এসে নিজের পছন্দ মতো পন্য নিয়ে যায়।

শুরুতে মূলধন ছিলো মাত্র ৩০০ টাকা। নিজের জমানো এই টাকা দিয়ে উদ্যোগ শুরু করেছিলাম। আমার মতে একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে টাকার অংক টা খুব বেশি জরুরি না। জরুরি হচ্ছে ইচ্ছাশক্তি আর মনোবল। আমার প্রতিষ্ঠানে ২ জন কর্মী আছে, যারা ফুল টাইম কাজ করে।

অনেকে ভাবে পড়াশোনা শেষ করে চাকরি করবে, কিন্তু সে সময় অনেকটা দেরি হয়ে যায়। তাই আমার মতে চাকরির আশায় বসে না থেকে, যখন আপনি মনে করবেন এখন আপনার কিছু করা উচিত, ঠিক তখনই উদ্যোগ শুরু করা উচিত।

আমার উদ্যোগের নাম হিজাব শপ হলেও বর্তমানে কাস্টমার এর চাহিদা অনুযায়ী হিজাব এর পাশাপাশি দেশীয় বিভিন্ন ধরনের পোশাক নিয়েও কাজ করে থাকি।

উদ্যোগের শুরুতে কম বেশি সবাইকে প্রতিবন্ধকতার শিকার হতে হয়। আমিও তার ব্যাতিক্রম নই। প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়া টাই আসল। আলহামদুলিল্লাহ! মাসিক ১০-১৫ হাজার টাকা সেল হয় নিয়মিত। কখনো কখনো আরো বেশি হয়ে থাকে।

সরকারি বা বেসরকারি সুযোগ বলতে বিভিন্ন ধরনের ট্রেনিং করার সুযোগ হয়েছে। যার মাধ্যমে উদ্যোক্তা জীবন সম্পর্কে আরো ভালোভাবে জেনেছি। আমার উদ্যোক্তা জীবনের ৬ বছর শেষ হতে চললো। এই ৬ বছরে একটু হলেও সফলতার মুখ দেখেছি।

ভবিষ্যতে ইচ্ছা আছে আরো বড় পরিসরে কাজ করার। বাকিটা আল্লাহ ভরসা, জানিনা কতোটুকু করতে পারবো। কারণ আমাদের সমাজে মেয়েদের বিয়ের পর সংসার সামলিয়ে তারা ব্যবসা করবে, এটা খুব সহজ কথা না। সবার দোয়া থাকলে ইনশাল্লাহ এগিয়ে যেতেপারবো।

অসহায় নারীদের স্বপ্ন বাস্তবে রুপ দিতে চান মরিয়ম আক্তার সেতু

Previous article

দেশের প্রত্যেক সুপারশপে ‘সুপারফুড’ প্রতিষ্ঠিত করতে চান উদ্যোক্তা তাজনাহার হক

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *