উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা ৫০ হাজার টাকা বিনিয়োগ করে ৩ লাখ টাকার আতা বিক্রি By রিপোর্টার September 15, 20221 ShareTweet 1 বিলুপ্তপ্রায় আতা বা শরিফা ফল চাষ করেন মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বাহাউদ্দীন। বছর ঘুরতেই করেছেন আরও একটি বাগান। ২ বাগান থেকে ৩ বছরে আয় ১০ লাখ টাকা। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার চেংগাড়া গ্রামের বাহাউদ্দীন। শখের বশে ৫ বছর আগে মাত্র দুই বিঘা জমিতে আতা বা শরিফা ফলের বাগান করেন। প্রথম বছরে খরচ করেন মাত্র ২০ হাজার টাকা। পরের বছর আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সে বছর স্থানীয় ফল বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করে পান ৪০ হাজার টাকা। স্বল্প পুঁজি বিনিয়োগ করে বেশি লাভ হওয়ায় আরও ৬ বিঘা জমিতে বাগান করেন। এ বছর তিনি ৫০ হাজার টাকা খরচ করে পেয়েছেন তিন লাখ টাকা। আরও পড়ুনঃ পরিত্যক্ত জমিতে লেবুবাগান, বছরে আয় লাখ টাকা বাগান মালিক বাহাউদ্দীন বলেন, আগে প্রায় প্রতিটি বাড়িতেই পাওয়া যেত সুস্বাদু ফল শরিফা। এখন কালের বিবর্তনে হারিয়ে যেতে বসেছে সেই ফল। এখন কেউ আর এ ফলের গাছ রোপণ করেন না। তিন বছরে ১০ লাখ টাকার ফল বিক্রি করেছি। এখন বিভিন্ন এলাকার মানুষ অনলাইনে অর্ডার করছেন। প্রতি কেজি শরিফা ফল বিক্রি হচ্ছে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায়। অনলাইনে অর্ডার করেন ক্রেতারা। কুরিয়ারের মাধ্যমে ঠিকানা অনুযায়ী শরিফা ফল পাঠানো হয়। গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লাভলী খাতুন বলেন, আতা বা শরিফা একটি বিলুপ্তপ্রায় সুস্বাদু ও পুষ্টিগুণে ভরপুর ফল। বাহাউদ্দীন দুটি বাগান করেছেন। এতে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকেই বাগান করার প্রত্যয় ব্যক্ত করে পরামর্শ চাচ্ছেন। এ ফল আবাদে খরচ কম। রোগবালাই একেবারই নেই। অথচ লাভ অনেক বেশি। উপজেলার সাহারবাটি গ্রামের বাবলু হোসেন বলেন, বাহাউদ্দীনের সফলতার গল্প শুনে তার কাছ থেকে বাগান করার পরামর্শ নিচ্ছি। ইতোমধ্যে দুই বিঘা জমি প্রস্তুত করেছি।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views