খেলা

টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকা চ্যাম্পিয়ন আর্জেন্টিনা

1
arg2

সকল নাটকীয়তার অবসান ঘটিয়ে কোপা আমেরিকার ফাইনালে কলম্বিয়াকে হারিয়ে ১৬তম শিরোপা ঘরে তুলেছে আর্জেন্টিনা। নির্ধারিত ৯০ মিনিট শেষ হয়েছে গোলশূন্য সমতায়। খেলা গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে লাউতারো মার্টিনেজের গোলে শিরোপা নির্ধারণ হয়ে যায় আর্জেন্টিনার।

মায়ামির হার্ড রক স্টেডিয়ামে প্রথমার্ধে মেসি-দি মারিয়াদের খুব বেশি সুযোগ দেয়নি কলম্বিয়া। বারবার আক্রমণে উল্টো আর্জেন্টিনার ডিফেন্সকে ব্যস্ত রেখেছে রদ্রিগেজ-দিয়াজ-কর্ডোবারা। তবে বেশ কিছু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি কলম্বিয়াও। তাতে প্রথমার্ধ শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়।

দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকেই দাপট ধরে রাখে কলম্বিয়া। আক্রমণেও উঠেছিলো কয়েকবার। ৫৮ মিনিটে কোনো রকমে বেঁচে যায় কলম্বিয়া। বাঁ দিক থেকে বল নিয়ে একেবারে প্রতিপক্ষের ডেরায় ঢুকে পড়েন ডি মারিয়া। তার নেয়া শট কোনো রকমে ঠেকিয়ে দেন কলম্বিয়ার গোলরক্ষক কামিলো ভারগাস।

ম্যাচ চলাকালীন সময়ে লিওনেল স্কালোনিকে সচরাচর মাথা গরম করতে দেখা যায় না। তবে এদিন তিনি মেজাজ হারালেন। কলম্বিয়ার ফুটবলারদের মারকুটে ফুটবল দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারেন নি তিনি। এরপর খেলার ৬১ মিনিটে হলুদ কার্ড দেখেন অ্যালেক্সিস ম্যাক অ্যালিস্টার।

আরও পড়ুনঃ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় আফগানিস্তানের ইতিহাস

মার্টিনেজের গোলের আগে ম্যাচ জুড়ে অবশ্য ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের পুরো অসহায় দেখা গেছে। আধিপত্য কলম্বিয়ারই ছিলো। ম্যাচপূর্ব বিপর্যস্ত ছিলো আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়েরা। ম্যাচ শুরুর আগেই কলম্বিয়ার উগ্র ভক্তদের তোপে পড়েন আর্জেন্টিনা ভক্তরা। পুরো ম্যাচেই কলম্বিয়ার শারীরিক ফুটবল আর প্রেসিংয়ের কাছে অসহায় হয়ে ছিলো আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ। তবে ম্যাচে ছেড়ে কথা বলেননি মেসিরাও।

ইনজুরিতে ৬৩ মিনিটে উঠে যাওয়ার আগ পর্যন্ত মেসি ও ডি মারিয়ার কাউন্টার অ্যাটাক ব্যতিব্যস্ত রেখেছে কলম্বিয়াকেও। নির্ধারিত ৯০ মিনিটও শেষ হয় গোলশূন্য সমতায়। ফলে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। টুর্নামেন্টের নকআউট ম্যাচগুলোতে এই নিয়ম ছিলো না। খেলার ৯০ মিনিট যদি সমতায় শেষ হতো তাহলে সরাসরি টাইব্রেকার দেয়া হতো। তবে ফাইনাল ম্যাচে সেই নিয়ম নেই। খেলার ৯০ মিনিট শেষে সমতা থাকলে আরো ৩০ মিনিট খেলা হবে। যার জন্য এই ম্যাচও গড়ায় অতিরিক্ত ৩০ মিনিটে।

অতিরিক্ত সময়েও একের পর এক আক্রমণ করে গেছে দুই দল। তবে কাঙ্খিত গোলের দেখা পাচ্ছিলেন না কোনো দল। অবশেষে সোনার হরিণ নামক সেই গোলটি পেয়ে যায় আর্জেন্টিনা। ১১২ মিনিটে এলো কাঙ্খিত সেই গোল।

মাঝমাঠ থেকে লাউতারো মার্টিনেজকে বল বাড়িয়ে দিলেন লো সেলসো। বক্সের ভেতরে ঢুকে নিখুঁত শটে বল জালে জড়ান লাউতারো। আর সেই গোলেই টানা দ্বিতীয়বারের মতো কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুলে আর্জেন্টিনা। সেইসঙ্গে কোপা আমেরিকার ইতিহাসে এককভাবে সর্বোচ্চ ১৬ বার চ্যাম্পিয়ন এখন আর্জেন্টিনা।

১৮তম শিক্ষক নিবন্ধনের লিখিত পরীক্ষা পেছাবে না

Previous article

কুমিল্লায় এক জমিতে বছরে চার ফসল ফলিয়ে লাভবান কৃষকরা

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More in খেলা