উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগ কে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিতে চান রোকেয়া খাতুন By নিজস্ব প্রতিবেদক January 26, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, অনলাইনে নিজের উদ্যোগ নিয়ে আলাপ করেছেন পরিশ্রমী একজন উদ্যোক্তা রোকেয়া খাতুন। চলুন শুনি তার উদ্যোগের সফলতার গল্প। আমি রোকেয়া খাতুন। জন্ম ও বেড়ে ওঠা ঢাকাতে। আমার কিছু অফলাইন ক্রেতা আছে যারা আমার পণ্যের উপর এতটা বিশ্বাস রেখেছে যে আমি নিজে কিছু করবো এমন অনুপ্রেরণা সেখান থেকে পেয়েছি। আমি চেয়েছি এর সুফল ছড়িয়ে যাক। আমি মূলত ক্রোকারিজ আইটেম বেশি রেখেছি। তাছাড়া ডাইং আমার অনেক প্রিয় কাজ। টাইডাই ও অন্যান্য থ্রি পিস, সানগ্লাস ও রকমারি পণ্য আছে অর্থাৎ বিভিন্ন পণ্যের সমাহার ঘটিয়েছি। যেমন এখন শীতকাল, আমি কমফোর্টার ও কাঁথা এনেছি। সোফার কভার রেখেছি। আমি চেষ্টা করছি মানসম্মত পণ্য ক্রেতাকে দেয়ার, যা আমার জন্য প্রযোজ্য তা যেনো সবার জন্য হয়। শুরুটা হঠাৎই করেছি। প্যানডেমিক সময়ে মনে হয়েছে কিছু একটা করা প্রয়োজন। মনের তাগিদ থেকে উদ্যোগ শুরু করি। প্রথম মূলধন ছিলো ৮,০০০ টাকা। আমার মতে উদ্যোক্তা হতে হলে প্রবল ইচ্ছা থাকাটা খুব জরুরী। ইচ্ছাশক্তি যতো প্রবল হবে কাজ ততো বেগবান হবে। তবে আরো কিছু যোগ্যতাও জরুরী সঠিক পরিকল্পনা, সততা, ধৈর্য্য, পরিশ্রম ও বিচক্ষণতা। আমি ও আমার স্বামী মূলত উদ্যোগটাকে পরিচালনা করছি। মেধাবীরা এগিয়ে যায়। পড়াশোনা শেষে চাকরির পেছনে হন্যে হয়ে না ঘুরে নিজে যদি কিছু করে, কারো চাকরির ব্যবস্থা করতে পারে সেটাতে বড় তৃপ্তি। নিজে কিছু করার স্পৃহা থেকেই আমার উদ্যোক্তা হওয়া। স্বপ্ন বুনি উদ্যোগকে দূর বহুদূর নিয়ে যাবো। আমার পেইজের নাম Ananjiba । আমার দুই মেয়ের নামের অংশ নিয়ে নামকরণ করা হয় পেইজটির। আমি আমার পেইজে ইউনিক ও মেশিনারিজ পণ্য রেখেছি। কিছু সৃষ্টিশীল কাজও আছে। প্রতিনিয়ত নতুন নতুন পণ্যের বৈচিত্র্য আনতে চেষ্টা করছি। পেইজে এসে অন্তত সবার চোখ ও মন জুড়াবে পেয়েও যেতে পারেন কাঙ্ক্ষিত পণ্য। নারীরা যেকোনো ক্ষেত্রে বাঁধার সম্মুখীন হয়। তবে দিন বদল হয়েছে অনেক। আমাদের দেশে এখন অনেক সফল নারী উদ্যোক্তা আছে। তাই বর্তমান প্রেক্ষিতে বলতে চাই কিছু সমস্যা ছাড়া উদ্যোক্তা জীবন নারীবান্ধব। প্রতিবন্ধকতা বলতে তেমন কিছু নেই। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে পারিবারিক বাঁধার সম্মুখীন হই। আমরা নারীরা পরিবার-পরিজন সামলে এগিয়ে যাচ্ছি। সেল নিয়ে আমি সন্তুষ্ট কারণ প্রথমেই বলেছি উদ্যোক্তার ধৈর্য্য ধারণ করতে হয়। বেশিরভাগ আমার রিপিট ক্রেতা আছে আলহামদুলিল্লাহ। এখন পর্যন্ত সরকারী বা বেসরকারী কোনো সহযোগিতা পাইনি। এখনো এক বছর হয়নি ক্রেতার আস্থা সৃষ্টি করতে পেরেছি এটাই বড় প্রাপ্তি। আমি দেখতে চাই বৈচিত্র্যময় পণ্য মানে সবাই যেন Ananjiba কে স্মরণ করে এ লক্ষ্যে কাজ করছি। পাঁচ বছর পর নিজের একটাই চাওয়া Ananjiba কে ঘরে ঘরে পৌঁছে দেওয়া।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231563 views