উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা শিমুল তুলার বালিশ বিক্রি করে সফল উদ্যোক্তা রায়তুন জাহান মিম By নিজস্ব প্রতিবেদক January 27, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে আলোচনা হলো অনলাইনে নিজের উদ্যোগ নিয়ে কাজ করা রায়তুন জাহান মিম’র সঙ্গে। যিনি কাজ করছেন থাইল্যান্ড ইম্পোর্টেড কসমেটিকস এবং শিমুল তুলার বালিশ নিয়ে। আজ শুনবো তার জীবনের গল্প। আমি রায়তুন জাহান মিম। আমার বাসা চাদঁপুর। আর বেড়ে ওঠাও চাদঁপুরে। চাকরি করলে নিজের স্বাধীনতা থাকেনা। তাই অনার্স শেষ করার পর আমি উদ্যোগ নেই যে আমি এমন কিছু করবো যেখানে কারো মুখাপেক্ষী হতে হবেনা। তাই আমি শুরু করি থাইল্যান্ড ইম্পোর্টেড কসমেটিকস এবং শিমুল তুলার বালিশ নিয়ে। আমার শুরুটা তেমন ভালো ছিলো না। কারণ কারো সাপোর্ট পাইনি। নিজের উদ্যোগে কাজ শুরু করি, মাত্র ৪,৫০০ টাকা মূলধন নিয়ে। একজন উদ্যোক্তা হতে গেলে আমার কাছে মনে হয় কথা হজম করা বেশি প্রয়োজন । আর মনোবল এবং ধৈর্য্য তো অবশ্যই একজন উদ্যোক্তার প্রয়োজন। আমি আমার কাজ একাই করি। প্রোডাক্ট আনা থেকে শুরু করে ডেলিভারি ফটোগ্রাফি সব একাই সামলাই। আমার স্বাধীনতা বেশি প্রয়োজন ছিলো। আমার উদ্যোগের ১ বছরের বেশি সময় ধরে আলহামদুলিল্লাহ সততার সাথে কাজ করছি। এই বিজনেস এর পাশাপাশি আরো কিছু নিয়ে কাজ করার চিন্তা করছি। প্রত্যেকটা নারীর উচিত নিজের একটা পরিচয় গড়ে তোলা। কারন আমাদের দেশের বেশিরভাগ মেয়েরা হয় বাবা, না হয় স্বামীর উপর নির্ভরশীল। এতে মেয়েদের অনেক শখ বা চাহিদা থাকলেও সেটা আর পূরণ হয় না। আর নারী যদি স্বাবলম্বী হয় তাহলে নিজের চেয়েও প্রিয় মানুষগুলোর বেশি উপকার হয়। প্রতিবন্ধকতা প্রথমে অনেক পেয়েছি। আশেপাশে সবাই বলতো পড়ালেখায় বেশি ভালো না বলে চাকরি পায় না। তাই অনলাইনে এসব করে। আবার একজন তো বললো এসব ছেড়ে বিয়ে করে নাও। আলহামদুলিল্লাহ আমার সেল অনলাইনের চেয়ে অফলাইনে বেশি ছিলো। তবে মহামারী বেড়ে যাওয়ায় এখন আবার সেল কমে গেছে। সরকারি বা বেসরকারি কোনো সহযোগিতা এখনো পাইনি। আমার ভবিষ্যৎ চিন্তা হলো নিজের একটা শপ হবে আর সেখানে আমিসহ অন্যরাও কাজ করবে।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231563 views