উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা উদ্যোক্তা হতে প্রথমত প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস- রুবাইয়া তিথি By নিজস্ব প্রতিবেদক January 29, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, অনলাইনে নিজের উদ্যোগ নিয়ে আলাপ করেছেন রুবাইয়া তিথি। আজ শুনবো তার উদ্যোগের সফলতার গল্প। আমার জন্ম রাজবাড়ী জেলায়। আর বেড়ে ওঠা বলতে আব্বু সরকারি চাকরিজীবী ছিলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায় আব্বুর পোস্টিং ছিল। সেই সুবাদে ছোট থেকেই দেশের বিভিন্ন জেলা ঘুরে অবশেষে ঢাকার বাসিন্দা হয়েছি। ছোট বেলা থেকেই ইচ্ছা ছিল স্বাবলম্বী হওয়ার। আর আমার পরিবার মেয়েদের স্বাবলম্বী হওয়ার ব্যাপারটা খুব সাপোর্ট করে। আমার পেইজের নাম Taj Enterprise। আমি কাজ করছি মূলত মেয়েদের পোশাক এবং ক্রোকারিজ আইটেম, গিফট আইটেমসহ বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে। শুরুটা বেশ কঠিনই ছিল। কিভাবে শুরু করবো, কি দিয়ে শুরু করবো, সব ম্যানেজ করতে পারবো নাকি, অনেক কিছুই চিন্তা করতে হয়েছে। অল্প কিছু মূলধন নিয়েই আসলে শুরু করেছিলাম। উদ্যোক্তা হতে প্রথমত প্রয়োজন আত্মবিশ্বাস। নিজের উপর বিশ্বাস থাকতে হবে, যে আমি পারবো। এরপর থাকতে হবে ধৈর্য্য। বন্ধুর এই পথে অনেক প্রতিবন্ধকতা আছে, হতাশ হলে চলবে না। ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে হবে। বর্তমানে আমার দুই জন কর্মী রয়েছেন। এটা বাস্তব কথা, সবাই চাকরির পেছনেই ছোটে। আমাদের দেশের ‘উদ্যোক্তা’ বিষয়টা এখনও সবাই ভালোভাবে গ্রহণ করতে পারেনি। কিন্তু কারো অধীনে না থেকে, নিজে কাজ করার মাঝেও একটা শান্তি আছে। আমি সবসময় চেয়েছি নিজে স্বাধীনভাবে কিছু করতে। আমি মূলত কাজ করছি মেয়েদের পোশাক এবং ক্রোকারিজ আইটেম, গিফট আইটেম এবং বিভিন্ন ধরনের নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য নিয়ে। আমি মনে করি আমাদের দেশের প্রেক্ষাপট নারী উদ্যোক্তাদের জন্য খুবই ভালো। ধৈর্য্য ধরে এগিয়ে যেতে পারলে একজন নারী উদ্যোক্তা অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারবেন। কারণ সংসার বাচ্চা সামনের অনেক নারীদের জন্যই চাকরি করাটা বেশ কঠিন হয়ে যায়। আমি বলছি না একজন উদ্যোক্তার জীবন খুব সহজ। একজন উদ্যোক্তার জীবন আরো কঠিন। কারণ চাকরিজীবীদের কাজের একটি নির্দিষ্ট সময় থাকে। একজন উদ্যোক্তার নির্দিষ্ট কোনো সময় থাকেনা। হতে পারে সেটা ভোর পাঁচটা, কখনো রাত দুটো। তারপরও তিনি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছেন। আর বর্তমানে অনেক নারীই এই পেশায় আসছেন। প্রতিবন্ধকতা অবশ্যই আছে। আমি প্রধান প্রতিবন্ধকতা পেয়েছি পণ্য ডেলিভারি নিয়ে। যেহেতু কাচের এবং ভারি পণ্য নিয়ে কাজ, ডেলিভারি কস্টিং টা বেশি পরে যায়৷ আবার সুবিধা মতো তেমন কোনো ডেলিভারি কোম্পানি পাইনা। আমার সেল আলহামদুলিল্লাহ এবং আমার সেবায় কাস্টমার আলহামদুলিল্লাহ সন্তুষ্ট। আমার অনেক রিপিট কাস্টমার রয়েছেন। সরকারি-বেসরকারি কোন ধরনের সহযোগিতা এখনো পাইনি। আমার প্রতিষ্ঠানের অর্জন বলতে এখন পর্যন্ত আমি লক্ষ্যে পৌঁছাইনি। অনেক কিছুই অর্জনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। তবে আলহামদুলিল্লাহ আমি অনেক রিপিট কাস্টমার পেয়েছি এবং তারা আমার সার্ভিসে সন্তুষ্ট। সততার সাথে কাজ করে যাচ্ছি। এটাই আমার অর্জন। আমার ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা আমি TAJ কে একটি ব্র্যান্ড হিসেবে দেখতে চাই। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে আমার প্রতিষ্ঠান ছড়িয়ে যাবে। দেশের বাইরে ও আমি আমার সেবা পৌঁছে দিতে চাই। পাঁচ বছর পর আমার প্রতিষ্ঠান কে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে দেখতে চাই।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231560 views