উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা নারী হয়ে লুঙ্গি নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ জান্নাতুল ফেরদৌস পারিসার By নিজস্ব প্রতিবেদক February 19, 20222 ShareTweet 2 নারী হয়ে লুঙ্গি নিয়ে ব্যতিক্রমী উদ্যোগ শুরু করেন জান্নাতুল ফেরদৌস পারিসা। উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা জান্নাতুল ফেরদৌস পারিসার সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আমি জান্নাতুল ফেরদৌস পারিসা। জন্ম ঢাকাতে, দেশের বাড়ি পাবনা। বেড়ে ওঠা ঢাকায়। করোনাকালীন সময়ে যখন লকডাউন শুরু হলো তখন থেকেই অনলাইন এ কিছু করার ইচ্ছা থেকেই আমার এই পথচলা। আমার অনুপ্রেরণা সবসময়ই আমার মা রিনা রহমান এবং স্বামী তন্ময় জুবায়ের মেহেদী। এই দুজনের অনুপ্রেরণায় আমার উদ্যোক্তা জীবন শুরু। আমি বিক্রমপুরের ঐতিহ্যবাহী লুঙ্গি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলাম। তবে বর্তমানে শাড়ি, সালোয়ার কামিজ এবং আনুষাঙ্গিক অনেক কিছুই আমার ‘কল্পতরু’ পেইজে আছে। আমি শুরুতে ১,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে কাজ শুরু করি যা ছয় মাসের মধ্যে প্রায় লাখ টাকার মুখ দেখিয়েছে। একজন উদ্যোক্তা হতে সবথেকে বড় যে গুন থাকা দরকার তা হচ্ছে ধৈর্য্য। এছাড়াও আত্মবিশ্বাস এবং কঠোর পরিশ্রম একজন উদ্যোক্তার সবথেকে বড় মূলধন। বর্তমানে আমার পরিবারের মানুষ আমার কাজে সাহায্য করছে। তবে ইচ্ছা আছে অনেকের কর্মসংস্থান হয় এমন উদ্যোগ গ্রহণ করার। সেই লক্ষ্যে “নাম না জানা বন্ধু” নামে আরো একটি পেইজের মাধ্যমে দুঃস্থ, মধ্যবর্তী ও অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে তাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করার চেষ্টা করছি এবং বিনিময়ে খাদ্য দেওয়ার নিশ্চয়তা দিচ্ছি যে পরিকল্পনার নাম “কর্মের বিনিময়ে খাদ্য”। আমি ভিন্ন নই। আমি চাকরিও করছি পাশাপাশি আমার উদ্যোক্তা জীবনকে এগিয়ে নেওয়ার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছি। আমি একজন ইন্টেরিয়র আর্কিটেক্ট। এছাড়াও শখের বশে নিউজ প্রেজেন্টার এবং নিউজ নিয়ে কাজ করছি। আমার প্রতিষ্ঠান এর নাম “জাগো একাডেমি”। যেখানে বর্তমানে ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছি । আমাদের দেশের প্রধানমন্ত্রী একজন নারী। সেদিক দিয়ে অবশ্যই আমাদের দেশের নারীরা অনেক ভাগ্যবতী। যেকোনো প্রয়োজনে আমাদের সরকার পাশে আছে। নারী উদ্যোক্তাদের এগিয়ে নিতে তারা প্রতিনিয়ত নানা রকম উদ্যোগ গ্রহণ করছেন। যেকোনো উদ্যোগে প্রতিবন্ধকতা থাকবে। আমি মূলত ভেলিভারি নিয়ে নানা রকম সমস্যার সম্মুখীন হয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ YEESBD পরিবারের কল্যানে সেল ভালো। মূলত আমার উদ্যোগের শুরু হয়েছে YEESBD পরিবার থেকেই। অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই YEESBD পরিবারের এডমিন নাজনিন আফজাল কে। এতো সুন্দর একটি প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে আমাদের উদ্যোক্তা জীবনকে আরো মসৃণ করার জন্য। এখন পর্যন্ত আমি সরকারি কোনো সুবিধা নেয়নি। তবে ভবিষ্যতে সরকারি সুযোগ-সুবিধার মাধ্যমে পরিকল্পনা বাস্তবায়নের চিন্তা ভাবনা আছে। বেসরকারিভাবে অনেক জায়গা থেকেই সুবিধা পেয়েছি এবং এখনো পাচ্ছি। আমার প্রতিষ্ঠান এর অর্জন এখনো অনেক বাকি। ভবিষ্যৎ কে ঘিরে আরো অনেক চিন্তা ভাবনা আছে।যা শুধু আমার জীবনকেই না আরো দশজনের জীবনকে নতুন রূপ দান করবে। আমার “নাম না জানা বন্ধু” পেইজ এর মাধ্যমে “কর্মের বিনিময়ে খাদ্য” পরিকল্পনাটি দ্রুত বাস্তবায়নের পদক্ষেপ নিচ্ছি। এইজন্য সবার দোয়া চাই। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে যেমন মানুষ কর্মের সুযোগ পাচ্ছে ঠিক তেমনি তাদের কর্মের বিনিময়ে দু’বেলা খাবার পাবে। আপাতত সমাজসেবার মাধ্যমে সমাজকে উন্নত করার লক্ষ্যেই আমার পথচলা। কেননা একটা দেশ তখনই উন্নত হবে যখন আমাদের সমাজ উন্নত হবে।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views