ই-কমার্সব্যবসা-বাণিজ্যশীর্ষ সংবাদ সরকারের সহায়তায় উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন নারীরা By নিজস্ব প্রতিবেদক June 30, 20220 ShareTweet 0 উপযুক্ত বিনিয়োগ পরিবেশ এবং সরকারের আর্থিক ও নীতিগত সহায়তার সুযোগ নিয়ে অর্থনৈতিক কর্মকান্ডে নারীদের অংশগ্রহণ বেড়েই চলেছে। পাইকারি ও খুচরা ব্যবসা কিংবা উৎপাদন ব্যবস্থায় সম্পৃক্ত হয়ে গড়ে তুলছেন শিল্প-কারখানা। কর্মসংস্থান তৈরিতে রাখছেন গুরুত্বপূর্ণ অবদান। ব্যাংক ঋণ থেকে শুরু করে ব্যবসা পরিচালনার আনুসঙ্গিক কার্যক্রম আগের তুলনায় অনেক সহজ করা হয়েছে। নারীরা এক্ষেত্রে বাড়তি সুবিধাও পাচ্ছেন। সেই সুযোগে তারা হয়ে উঠছেন উদ্যোক্তা। গত এক দশকে দেশে নারী উদ্যোক্তার সংখ্যা প্রায় দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। বর্তমানে দেশে প্রতিবছর যতজন উদ্যোক্তা হচ্ছেন, তার মধ্যে ৩২ শতাংশই নারী। এছাড়া করোনা মহামারির মধ্যে অনলাইনভিত্তিক উদ্যোক্তা তৈরির ক্ষেত্রে নারীরা এগিয়ে আছেন। নারী উদ্যোক্তারা চাইলেই এখন জামানতবিহনী ঋণ নিতে পারছেন। যেহেতু নারীদের পক্ষে জামানত দেয়া কঠিন কাজ, সেই বিবেচনায় সরকার এই পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। ইতিমধ্যে কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান সীমিত পরিসরে নারী উদ্যোক্তাদের তুলনামূলক কম সুদে জামানতবিহীন ঋণ দিচ্ছে। এসএমই ফাউন্ডেশন চলতি অর্থবছরে মোট ২০০ কোটি টাকা ঋণ বিতরণ করেছে, যার মধ্যে ৩০ শতাংশ বা ৬০ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে নারী উদ্যোক্তাদের। এখান থেকে একজন উদ্যোক্তা ১ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ নিতে পারছেন। এর মধ্যে ২৫ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণের জন্য কোনো জামানত দিতে হয় না। সার্বিকভাবে নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ঋণদানের ক্ষেত্রে সুদের হার কমিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। প্রচলিত ব্যাংক ঋণের সুদের হার ৯ শতাংশ হলেও নারী উদ্যোক্তারা ৫ শতাংশ সুদে ঋণ পাবেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের ‘স্মল এন্টারপ্রাইজ খাতে পুনঃঅর্থায়ন স্কিম’ এর আওতায় স্বল্প সুদে ঋণ পাবেন। ২০২৪ সালের মধ্যে এই খাতে প্রদত্ত ঋণের অন্তত ১৫ শতাংশ নারী উদ্যোক্তাদের দেয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমেদ বলেন, বাংলাদেশের নারী উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত সৃজনশীল ক্ষমতার অধিকারী। তারা যেকোনো কঠিন কাজও দেখে দেখে শিখে নিতে পারেন। তবে, তাদের অর্থায়ন প্রাপ্তি আরও সহজ করা যেতে পারে। তিনি বলেন, সরকার নারী উদ্যোক্তাদের জন্য যে সব নীতি সহায়তা দিয়েছেন, সে সম্পর্কে নারী উদ্যোক্তাদের অনেকেই অবহিত নন। এ বিষয়ে নারী উদ্যোক্তাদের অবহিত করতে আরও উদ্যোগী হওয়ার দরকার। চলতি অর্থবছরে পিকেএসএফ’র প্রায় ৬ হাজার কোটি টাকা ঋণ প্রদানের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে বলেও তিনি জানান। পিকেএসএফ’র ৫ লাখ টাকা হতে ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণের জন্য কোনো জামানত দিতে হয় না। তবে, পিকেএসএফ এর ঋণদান পদ্ধতিতে কিছুটা ভিন্নতা রয়েছে। এদিকে, মহামারি করোনার মাঝেও অনেক নারী উদ্যোক্তার সৃষ্টি হয়েছে। ডিজিটাল বাংলাদেশের সুযোগ নিয়ে নারীরা ফেসবুক, ইউটিউবের মতো সামাজিক মাধ্যমেও ব্যবসা চালাচ্ছেন। নিজের প্রতিষ্ঠানের নামে ফেসবুক পেজ খুলে অনলাইন প্ল্যাটফর্মে বিক্রি করছেন নিজের প্রতিষ্ঠানের পণ্য। চলমান করোনার মধ্যে অনলাইনভিত্তিক নারী উদ্যোক্তা অনেক সৃষ্টি হয়েছে। ই-কমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ই-ক্যাব) তথ্য মতে, এখন দেশে প্রায় ২০ হাজার ফেসবুক পেজে কেনাকাটা চলছে। এর মধ্যে ১২ হাজার পেজ চালাচ্ছেন নারীরা। ফেসবুককে মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে স্বল্প পুঁজিতেই উদ্যোক্তা হয়ে উঠছেন নারীরা। ই-ক্যাবের তথ্যমতে, গত এক বছরে ই-কমার্স খাতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা। ঈদসহ যেকোনো উৎসবে এ লেনদেন বাড়ে। নারী উদ্যোক্তাদের কেউ পোশাক, কেউ গয়না, কেউ হাতে তৈরি নানা জিনিস, কেউ তৈরি খাবারসহ নানা পণ্য বিক্রি করছেন। অনেকে দেশীয় সংস্কৃতিকে তুলে ধরার কাজ করছেন। কেউ শৌখিন পণ্য নিয়ে ব্যবসায় নেমেছেন। এই নারীরা শিক্ষিত। সংসারের চাপসহ নানা সমস্যায় অনেকের পক্ষে চাকরি করা সম্ভব হয়নি। অনেকে নিজে কিছু করবেন বলে বদ্ধপরিকর। ফলে, সংসার সামলানোর পাশাপাশি স্বাধীন এ ব্যবসায় আগ্রহ বাড়ছে নারীদের।
আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন June 23, 20241
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views