উদ্যোক্তার গল্পদেশি উদ্যোক্তা নিজ উদ্যোগ কে ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর করতে চান নিলুফা নীলা By নিজস্ব প্রতিবেদক July 14, 20220 ShareTweet 0 উদ্যোক্তা জার্নালের বিশেষ আয়োজন ‘উদ্যোক্তা গল্প’-র আজকের পর্বে, কথা হলো উদ্যোক্তা নিলুফা নীলার সঙ্গে। আজ শুনবো তার উদ্যোক্তা হয়ে ওঠার গল্প। আসসালামু আলাইকুম। আমি নিলুফা নীলা। জন্ম ময়মনসিংহ বিভাগ, বেড়ে উঠা ময়মনসিংহে। লকডাউনে চাকরি ছেড়ে যখন ঘরে বসে টুকিটাকি পেইন্ট করি তখন পরিবারের সদস্যদের উৎসাহে অনলাইনে কাজ শুরু করি। এক্ষেত্রে আমার স্বামী সবসময় আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়েছেন। আমি হ্যান্ড পেইন্ট নিয়ে কাজ করছি। মূলত ফেব্রিকস পেইন্টিং করাই আমার কাজ। আমার প্রতিষ্ঠানের নাম “Fashion Expo” (ফ্যাশন এক্সপো)। আমি বর্তমানে কাপল সেট, ফ্যামিলি কম্বো ও ইভেন্ট ম্যাচিং ড্রেস নিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। কোনো কাজের শুরুটায় এতো সহজ হয়না। হাজার বাধা আসে, রেসপন্স পাওয়া খুব কঠিন হয় প্রথম প্রথম। আলহামদুলিল্লাহ এখন রেসপন্স ভালোই। শুরুটা ছিলো ১,০০০ টাকা মূলধন নিয়ে। একজন উদ্যোক্তার টিকে থাকার জন্য সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন ধৈর্য্য, সৃজনশীলতা এবং কাজের প্রতি ভালোবাসা। আলহামদুলিল্লাহ ৩ জন কর্মী নিয়ে এখন আমি আমার উদ্যোগ চালিয়ে যাচ্ছি। চাকরি করে নিজের স্বাধীনতা বিলিয়ে দিতে আমি কখনোই চাইতাম না। স্বাধীনভাবে নিজের মতো করে সবসময় কিছু করতে চেয়েছি। এখন ঘরে বসে চাকরি না করে অন্যকে চাকরি দিতে পারছি। ইনশাআল্লাহ ভবিষ্যতে আমার প্রতিষ্ঠানে আরো অনেক লোকের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হবে। আমার প্রতিষ্ঠান ও আমি কোয়ালিটির দিকে ফোকাস করি সবসময়। এখন পর্যন্ত সেরা পণ্যটাই পৌঁছে দিয়েছি ক্রেতার হাতে। আমি মনে করি আমাদের দেশের নারী উদ্যোক্তাদের জন্য ‘উই’ আছে। এর থেকে বড় প্ল্যাটফর্ম, বড় সুযোগ আর কি হতে পারে! একজন নারী উদ্যোক্তা চাইলেই ঘরে বসে ‘উই’ তে তার যা প্রতিভা, গুণ আছে তা নিয়েই কাজ শুরু করতে পারে। ‘উই’ গুণীর কদর করতে জানে। যেকোনো কাজেই বাধা তো থাকবেই। আমার কাজের শুরুতেও বাধা ছিলো। এখনো মাঝে মাঝে বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতা আসে, সেগুলো পজিটিভলি মেইনটেইন করেছি। আলহামদুলিল্লাহ! প্রতি মাসে ঘরে বসে ২০,০০০ হাজার টাকার বেশি সেল আসে। কাস্টমার রিভিউ ও ভালো৷ সরকারিভাবে যুব উন্নয়ন প্রশিক্ষণ নিয়েছি ব্লক ও বাটিকের উপর। ‘উই’ এর মাধ্যমে ট্রেনিং এর সুযোগ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ। ২০২১ সালের জুন থেকে কাজ করে এই পর্যন্ত অনেক অনেক ভালোবাসা, কাস্টমারের বিশ্বাস ও আস্থা অর্জন করতে পেরেছি আলহামদুলিল্লাহ। যা একজন উদ্যোক্তার জন্য সবচেয়ে বড় পাওয়া। ইনশাআল্লাহ আগামীতে আমার প্রতিষ্ঠানকে আমি ফ্যাক্টরি পর্যায়ে নিয়ে যাবো। যেখানে পাট থেকে তৈরী হবে ফাইবার, যা আমার দেশের জন্য কোনো নারী উদ্যোক্তার প্রথম উদ্যোগ হবে। আমার জানা মতে এখন পর্যন্ত এই কাজ টা এখনো কোনো নারী উদ্যোক্তা শুরু করেননি।
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231562 views