কৃষি পেঁপে চাষ করে স্বাবলম্বী বরিশালের চাষিরা By নিজস্ব প্রতিবেদক October 11, 20221 ShareTweet 1 জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পতিত জমিতে শখের বসে পৃথকভাবে রেডলিপ, শাহী, কাশ্মিরি, টপলেডি জাতের পেঁপে চাষ করে সংসারে সচ্ছলতা এনেছেন মির্জা ফনু মৃর্ধা, ইব্রাহিম, শহিদুল ও সুমন। সামাজিক ও অর্থনৈতিকভাবে হয়ে উঠেছেন স্বাবলম্বী। প্রত্যক্ষভাবে দেখা যায়, জেলার সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ইছাগুড়া, পূর্ব ইছাগুড়া গ্রামের চাষি মির্জা আনোয়ার হোসেন ফনু ও ইব্রাহিম আকন ও মকরুম প্রতাপ গ্রামে আবুল মহরী পেঁপে চাষে সফল হয়েছেন। এছাড়াও আরো অনেক চাষিই সফলতা পেয়েছেন। বিগত বছরের তুলনায় এবছর ব্যপক পেঁপের ফলন পেয়েছেন বলে প্রান্তিক এসব চাষিরা জানান। পেঁপে বিক্রি করে গত বছরের তুলনায় তারা মুনাফাও করেছেন কয়েকগুন। প্রত্যেকেই পৃথকভাবে প্রায় প্রতি মাসে পেঁপে বিক্রি করে লাভ পাচ্ছেন ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকার মতো। ফল ও সবজি হিসেবে পেঁপে বেশ জনপ্রিয়। শুধু পরিবারের চাহিদা মেটানোর জন্য একসময় বাড়ির আঙিনায় চাষ করা হতো ফলটি। বর্তমানে তারা বাণিজ্যিকভাবে পেঁপে চাষে চমক সৃষ্টি করেছেন। প্রতি মণ সময় ভেদে ৬’শ থেকে প্রায় ১৪’শ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করেছেন এ পেপেঁ। এব্যপারে বাবুগঞ্জ উপজেলার চাঁদপাশা ইউনিয়নের বায়লাখালি গ্রামের আবু বকর সিদ্দিকী সুমন জানান, এবছর আরো ৫’শ মণ পেঁপে বিক্রি করতে পারবেন তিনি। তার বাগানে শাহী, কাশ্মিরি, টপ লেডি জাতের ৯ শতাধিক পূর্ণবয়স্ক পেঁপে গাছ রয়েছে। প্রতিটা পেঁপে গাছে প্রায় ৫-৭ মণ পেঁপে ধরে। বর্তমানে এক একর জমিতে দুইটি ঘেরের পাড়ে সারি সারি পেঁপে গাছ শোভা পাচ্ছে। প্রতিটি গাছের গোরা থেকে মাথা পর্যন্ত ঝুলে আছে অসংখ্য পেঁপে। তিনি সর্বোচ্চ সাড়ে ৪ কেজি ওজনের পেঁপে সংগ্রহ করছেন। আরও পড়ুনঃ কুমিল্লায় আখ বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে চাষিরা তিনি আরো জানান, বর্তমানে তিনি এলাকার (মসজিদ, মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান) বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের আঙ্গিনায় ফ্রি পেঁপে চারা লাগিয়ে বৃক্ষরোপণে উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করছেন। নিজের ফলানো পেঁপে বিনামূল্যে সবজি হিসেবে এলাকার একটি এতিমখানায় দিয়ে থাকেন তিনি। সদর উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ ফাহিমা হক এ বিষয়ে বলেন, উপজেলার প্রায় পেঁপে বাগানে দেখভাল করার জন্য গিয়েছি। এসব প্রান্তিক চাষিরা খুব কর্মঠ মানুষ। এরা প্রায় প্রত্যেকেই উপজেলায় পেঁপে চাষ করে চমক দেখিয়েছেন। জেলা কৃষি সম্প্রসারন অধিপ্তরের (খামার বাড়ি) উপ-পরিচালক মো. হারুন-অর-রশীদ জানান, প্রান্তিক কৃষকেরা ধানসহ একাধিক চাষে ভালো মুনাফা না পাওয়ায় পতিত ও পড়ে থাকা খালি জমিগুলোতে পেঁপে চাষ করেছেন। বর্তমানে সেই জমিতে রেডলিপ, শাহী, কাশ্মিরি, টপলেডি জাতের পেঁপে চাষে অনেক সফল হয়েছেন। তিনি আরো জানান, কৃষি সম্প্রসারণ অধিপ্তরের কর্মকর্তাদের পরামর্শে চাষিরা ফলন ভালো পেয়েছেন। এসব কৃষকেরা আর্থিকভাবে অনেকটা লাভবান। বর্তমানে জেলার অনেকেই পেঁপে চাষে উৎসাহী হয়ে উঠেছেন।
জয়পুরহাটে সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ২১ হাজার হেক্টর জমিতে December 7, 202382 views
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views