বিজ্ঞানস্বাস্থ্য ক্যান্সার চিকিৎসায় কণা পদার্থবিদ্যার অগ্রগতি By নিজস্ব প্রতিবেদক October 25, 20220 ShareTweet 0 ইউরোপের বিজ্ঞান ল্যাব সার্নের (ইউরোপিয়ান কাউন্সিল ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ) এর গবেষকরা, যারা নিয়মিতভাবে কণা পদার্থবিদ্যা ব্যবহার করে মহাবিশ্ব সম্পর্কে আমাদের বোঝাপড়া নিয়ে চ্যালেঞ্জিং কাজ করেন, তারাও তাদের নৈপুণ্য প্রয়োগ করে ক্যান্সার চিকিৎসার বাধা অতিক্রম করতে চেষ্টা চালাচ্ছেন। ক্যান্সার রেডিয়েশন থেরাপির নাগাল প্রসারিত করার উপায়গুলোর সন্ধানে দৈত্যাকার কণা ত্বরণকারীর সাথে এখানকার পদার্থবিদরা কাজ করছেন এবং টিউমারগুলোর গভীরে সুনির্দিষ্ট আঘাত হানার উপায় খুঁজছেন। সার্নের লাইনার ইলেকট্রন এক্সিলেটর ফর রিসার্চ (সিএলইএআর) নামে ল্যাবের গবেষণা সমন্বয়কারী রবার্তো করসিনি একটি বৃহৎ, রৈখিক কণা ত্বরণকারীর পাশে দাঁড়িয়েছেন যার এক প্রান্তে অ্যালুমিনিয়াম ফয়েলে প্যাক করা টিউবসহ একটি ৪০-মিটার ধাতব বিম এবং পরিমাপের যন্ত্রগুলোর একটি বিস্তৃত অ্যারে এবং রঙিন তার ও ক্যাবলগুলো তার পাশে রয়েছে। সাম্প্রতিক পরিদর্শনের সময় তিনি এএফপি’কে বলেছেন, এখানে গবেষণাটি ইলেকট্রনের খুব উচ্চ শক্তির রশ্মি তৈরি করার জন্য। একটি পরমাণুর নিউক্লিয়াসে ঋণাত্মক চার্জযুক্ত কণা- যা অবশেষে ক্যান্সার কোষকে আরো কার্যকরভাবে মোকাবেলা করতে সহায়তা করতে পারে। তিনি বলেন, তারা শরীরের গভীর বসে থাকা টিউমারগুলোর চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তিগুলোতে ইলেকট্রনকে ত্বরান্বিত করার জন্য একটি প্রযুক্তি নিয়ে গবেষণা করছেন। যা ১০০ মিলিয়ন ইলেকট্রন ভোল্টের উপরে (এমইভি)। এই অতি উচ্চ শক্তির ইলেকট্রনগুলো (ভিএইচইই) ফ্ল্যাশ নামক একটি নতুন এবং প্রতিশ্রুতিশীল চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে একত্রে ব্যবহার করা যাবে এমনটিই ধারণা। এই পদ্ধতিটি বর্তমান পদ্ধতির মতো মিনিটের পরিবর্তে কয়েকশ মিলি সেকেন্ডে বিকিরণ ডোজ সরবরাহ করে। আরও পড়ুনঃ নিয়মিত লিভার প্রতিস্থাপন করা হবে বিএসএমএমইউয়ে : উপাচার্য এটিতে ক্যানসার টিউমারের উপর একই ধ্বংসাত্মক প্রভাব দেখানো হয়েছে। তবে আশপাশের সুস্থ্য টিস্যুর অনেক কম ক্ষতি করে। সার্নের তথ্য কর্মকর্তা বেনজামিন ফিচ বলেন, প্রথাগত রেডিও থেরাপি ‘টিউমার কোষের সমান্তরাল সুস্থ্য কোষগুলোর ক্ষতি করে।’ কিন্তু তাদের এই সংক্ষিপ্ত, তীব্র ফ্ল্যাশ চিকিৎসা সঠিকভাবে ক্যানসার কোষগুলো ধ্বংস করে এবং সুস্থ্য কোষগুলোর ওপর ক্ষতিকর প্রভাব হ্রাস করে। ২০১৮ সালে রোগীদের উপর ফ্লাস প্রথম ব্যবহার করা হয়েছিলো। বর্তমানে উপলব্ধ মেডিকেল লিনিয়ার এক্সিলারেটর, লিন্যাকের উপর ভিত্তি করে প্রায় ৬-১০ এমইভি এর কম-শক্তি ইলেক্ট্রন বিম প্রদান করে। যদিও এত কম শক্তিতে বীমগুলো গভীরভাবে প্রবেশ করতে পারে না। যার অর্থ অত্যন্ত কার্যকর চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত শুধুমাত্র ত্বকের ক্যান্সারের সাথে পাওয়া সুপারফিসিয়াল টিউমারগুলোতে ব্যবহৃত হয়েছে। সার্ন পদার্থবিদরা এখন ফ্ল্যাশ ডেলিভারির জন্য একটি মেশিন তৈরি করতে লউসেন ইউনিভার্সিটি হসপিটাল (সিএইচইউভি) এর সাথে সহযোগিতা করছেন। যা ১০০ থেকে ২০০ এমইভি পর্যন্ত ইলেকট্রনকে ত্বরান্বিত করতে পারে। এটি আরো অনেক কঠিন-নাগালের টিউমারের জন্য ব্যবহার করা সম্ভব হবে। সার্জারি, কেমোথেরাপি বা প্রথাগত রেডিয়েশন থেরাপি ব্যবহার করে শরীরের গভীরে থাকা ক্যান্সারের টিউমারগুলোকে নির্মূল করা যায় না। সেক্ষেত্রে আমরা এই টিউমার লক্ষ্য করে ফ্লাস তৈরি করছি। সিএইচইউভি-এর রেডিওলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর জিন বোরহিস এএফপি’কে বলেন, ‘যে সব ক্যান্সার এই মুহূর্তে নিরাময় করা যাচ্ছে না সেগুলোই আমাদের গবেষণার লক্ষ্য।’
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231565 views