সারাদেশ

কুড়িগ্রামে ২০টি গ্রাম প্লাবিত এবং ৩৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রয়েছে

1
kurigram

কুড়িগ্রাম জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবির্তিত রয়েছে। বন্যায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। পাঠদান বন্ধ রয়েছে ৩৯৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদ-নদীর পানি কিছুটা কমলেও ব্রহ্মপুত্র, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বইছে বিপদসীমার উপরে।

সোমবার (৮ জুলাই) বিকাল ৩টায় সেতু পয়েন্টে ধরলা বিপদসীমার ২৬ সেন্টিমিটার, ব্রহ্মপুত্র চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৫৩ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে বিপদসীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় এই তিনটি নদ-নদীর পানি ধীর গতিতে কমবে।

আরও পড়ুনঃ নাটোরে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন বিষয়ক কর্মশালা

গত দু’দিনে নাগেশ্বরী উপজেলার তিনটি স্থানে বাঁধ ও সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ২০টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। নাগেশ্বরী পৌর এলাকার তিনটি ওয়ার্ডে নতুন করে পানি প্রবেশ করেছে। সদর উপজেলার বাংটুরঘাট এলাকায় একটি স্পারের ১০ ফুট অংশ ধ্বসে গেছে।

কৃষি সম্প্রসারণ বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এ পর্যন্ত ৭ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমির ফসল বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে। জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, জেলার ২৭৬টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ৭৯টি মাধ্যমিক স্কুল, ৩৬টি মাদ্রাসা ও ৬টি কলেজে পাঠদান বন্ধ রয়েছে। জেলার ৯টি উপজেলার ১ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরীফ জানিয়েছেন, সরকারিভাবে ত্রাণ সহায়তা প্রদান অব্যাহত রয়েছে। এ পর্যন্ত ২৯৭ টন চাল, ২১ হাজার ৩৩০ প্যাকেট শুকনো খাবার ও ২১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা উপজেলা পর্যায়ে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। যা বিতরণ চলছে।

বাংলাদেশের রাজনৈতিক বন্ধু ভারত, চীন উন্নয়নের বন্ধু : ওবায়দুল কাদের

Previous article

চীনা ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী

Next article

You may also like

1 Comment

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *