জাতীয়শীর্ষ সংবাদ আখাউড়া-আগরতলা আন্তঃসীমান্ত রেল সংযোগের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা ও মোদি By নিজস্ব প্রতিবেদক November 1, 20230 ShareTweet 0 প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ যৌথভাবে ১২ দশমিক ২৪ কি.মি. আখাউড়া-আগরতলা আন্ত:সীমান্ত রেল সংযোগের উদ্বোধন করেছেন। এতে ব্যবসা-বাণিজ্য, পর্যটন এবং জনগণের সাথে জনগণের সংযোগ বাড়াবে। ঢাকা ও নয়াদিল্লি থেকে যৌথভাবে তাঁরা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বোতাম টিপে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচনের মাধ্যমে এই রেল সংযোগের উদ্বোধন করেন। একই অনুষ্ঠানে দুই প্রধানমন্ত্রী যৌথভাবে ভারতের সহায়তার আরো দুটি উন্নয়ন প্রকল্প খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন এবং মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের দ্বিতীয় ইউনিট ও উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ড. মানিক সাহা। ১২.২৪ কিলোমিটার আখাউড়া-আগরতলা ক্রস-বর্ডার রেল সংযোগ প্রকল্পটি বাংলাদেশে ৬.৭৮ কিলোমিটার ডুয়েলগেজ রেললাইন এবং ৫.৪৬ কিলোমিটার ত্রিপুরায় ৩৯২.৫২ কোটি টাকা ভারতের অনুদান সহায়তায় বাস্তবায়িত হয়েছে। গত সোমবার,এই রুটে ট্রায়াল রান হয়েছিলো, যেখানে বাংলাদেশের গঙ্গাসাগর থেকে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত একটি পণ্যবাহী ট্রেন চলে। অন্যদিকে যাত্রীবাহী ট্রেনের ট্রায়াল রান শিগশিরই অনুষ্ঠিত হবে বলেও সূত্র জানিয়েছে। আরও পড়ুনঃ সমুদ্রকেন্দ্রিক অর্থনীতির সম্ভাবনা কাজে লাগাতে বর্তমান সরকার বদ্ধপরিকর খুলনা-মোংলা বন্দর রেললাইন প্রকল্পটি ভারতের রেয়াতি লাইন অফ ক্রেডিট দিয়ে বাস্তবায়িত হয়েছে। যার মোট প্রকল্প ব্যয় ৩৮৮.৯২ মিলিয়ন ডলার (ভারতীয় এলওসি থেকে ৬৯.১৮ শতাংশ অর্থায়ন)। প্রায় ৬৪.৭ কিলোমিটার রেললাইনের নির্মাণ কাজ ৪,২৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে সম্পন্ন হয়েছে যা মোংলা বন্দরসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ব্যবসা-বাণিজ্যে নতুন সুযোগের সূচনা করবে। রেল সংযোগ চালু হওয়ার সাথে সাথে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বন্দর মোংলা ব্রডগেজ রেলওয়ে নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত হয়েছে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট ভারতীয় কনসেশনাল ফিনান্সিং স্কিম লোনের অধীনে নির্মাণ হচ্ছে। বিআইএফপিসিএল সূত্র জানায়, নির্মাণাধীন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি বাংলাদেশ-ইন্ডিয়া ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি (প্রাইভেট) লিমিটেড নামে বাংলাদেশ এবং ভারতের যৌথ অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে নির্মাণ করা হচ্ছে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসিলি যৌথভাবে এই কোম্পানি গঠন করেছে। দুই দেশের দুই রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান এই কোম্পানির সমান অংশীদার। বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে উভয়ের মধ্যে ২০১২ সালের ৩০ আগষ্ট বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং ভারতের এনটিপিসি লিঃ এর মধ্যে চুক্তি হয়। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ২শ’ কোটি ডলার। এই কোম্পানির অধীনে ১৩২০ মেগাওয়াট মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্রজেক্ট (রামপাল) নামে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ শুরু হয়। প্ল্যান্টটি বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান বিদ্যুতের চাহিদা মেটাতে সাহায্য করবে। মৈত্রী সুপার থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্টের ১ম ইউনিট ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে উভয় দেশের প্রধানমন্ত্রীগণ যৌথভাবে উদ্বোধন করেন এবং আজ ইউনিট-২ উদ্বোধন করা হলো।
জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদীর পক্ষ থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ March 29, 2025194 views
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না : হাইকোর্ট March 13, 2025130 views
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231894 views