বিনোদন

চলে গেলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর

0
images 2 6

চলে গেলেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর। ১৯২৯ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। ৭৭ বছরের সঙ্গীতজীবনে কণ্ঠ দিয়েছেন ১ হাজারের বেশি হিন্দি সিনেমার গানে। হিন্দি ছাড়াও ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষায় গান গেয়েছেন। সৃমদ্ধ করেছেন বাংলা ছাড়াও বহু বিদেশি ভাষার সঙ্গীতকে। বিখ্যাত ছিলেন কুইন অব মেলোডি, ভয়েস অব ন্যাশন, নাইটিঙ্গেল অব ইন্ডিয়াসহ বিভিন্ন বিশেষণে। ভূষিত হয়েছেন ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার ভারতরত্নসহ বহু সম্মাননায়।

লতা মঙ্গেশকর, যার কণ্ঠের জাদুতে দশকের পর দশক ধরে বুঁদ হয়ে আছেন কোটি কোটি শ্রোতা। কেউ তাকে চেনে নাইটেঙ্গেল অব ইন্ডিয়া হিসেবে কেউবা সুর সম্রাজ্ঞী, কিংবা কোকিলকণ্ঠী।  ভারতরত্ন পুরস্কার প্রাপ্ত  লতা মঙ্গেশকর হিন্দি, বাংলা ছাড়াও ভারতের ৩৬টি আঞ্চলিক ভাষায় গানে কণ্ঠ দিয়েছেন এ গুণী শিল্পী।

বহুগুণের অধিকারী এ গায়িকার জন্ম ১৯২৯ সালে ভারতের মধ্যপ্রদেশে। পিতা নাট্য অভিনেতা ও গায়ক পণ্ডিত দিননাথ মঙ্গেশকরের <মেয়ের নাম হেমা রাখলেও পরে হেমার নাম বদল করে রাখা হয় লতা। ৫ ভাইবোনের মধ্যে ছিলেন সবার বড়। >বাবার মৃত্যুর পর ১৯৪২ সালে মাত্র ১৩ বছর বয়সে মারাঠি সিনেমায় গান গেয়ে সঙ্গীতজীবন শুরু লতার। পরের বছর কণ্ঠে তোলেন হিন্দি সিনেমার গান। ১৯৪৯ সালেহিন্দি সিনেমা ‘মহলের’ ‘আয়েগা আনেওয়ালা’ গানটি দিয়ে পেয়ে যান ব্যাপক পরিচিতি।

সঙ্গীতাঙ্গনে পা দেয়ার পর থেকেই লতা মঙ্গেশকরের বন্দনা করেছেন বহু তারকা।কাহিনীকার ও গীতিকারজাভেদ আখতার বলেছেন এই পৃথিবীর একটি সূর্য, একটি চাঁদ আর একটি মাত্র লতা আছে। বিগ বি অমিতাভ বচ্চন বলেছেন, লতা মঙ্গেশকারের গান শুনে মনে হয় ঈশ্বরের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ স্থাপন করছে এ কণ্ঠ। চিত্রশিল্পী গৌতম রাজাধ্যক্ষ বলেছেন তানসেন আর লতা—৫০০ বছর পরও ভারতীয় সঙ্গীতের এই দুজনকেই সবাই স্মরণ করবে। এ ছাড়াও বহু শিল্পী, অভিনেতা-অভিনেত্রী বলেছেন, লতার কণ্ঠ ঈশ্বরপ্রদত্ত।

শুধু যে গুণী ব্যক্তিদের প্রশংসা কুড়িয়েছেন তা নয়, ৭৭ বছরের সঙ্গীত জীবনে পেয়েছেন অনেক পুরস্কারই। ছোটখাটো থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার—কী নেই সে তালিকায়। ৩ বার পেয়েছেন জাতীয় পুরস্কার।

মধুমতি সিনেমার ‘আজারে পরদেসি’ গানের জন্য ১৯৫৮ সালে পান শ্রেষ্ঠ সঙ্গীতশিল্পীর পুরস্কার। তারপর ন্যাশনাল ফিল্ম অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার স্পেশাল অ্যাওয়ার্ড, ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননাসহ বহু পুরস্কারে অর্জন করেন তিনি। বাংলায় তার অসংখ্য জনপ্রিয় গান আছে।

১৯৬৯ সালে ভূষিত হন ভারতের তৃতীয় সর্বোচ্চ সম্মাননা পদ্মভূষণে। ১৯৯৯ সালে সম্মানিত হন পদ্মভিভূষণে। দু’বছর পরই ভারতের সর্বোচ্চ সম্মাননা ভারতরত্নের অধিকারী হন লতা মঙ্গেশকার। এছাড়াও দেশবিদেশে পেয়েছেন আরো বহু সম্মানানা।

জাদুকরী কণ্ঠের লতা মুঙ্গেশকর  চেয়েছিলেন নিজের মত করে হারিয়ে যেতে। ৯০ বছর বয়সে তিনি চলে গেলেন পার্থিব এই মায়া ছেড়ে। কিন্ত যুগ যুগ ধরে তার কণ্ঠ বেঁচে থাকবে শ্রোতার মন-মননে।

চট্টগ্রামে পরিকল্পিত পরিবহন ব্যবস্থা এবং মেট্রোরেল চালুর লক্ষ্যে সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু করতে যাচ্ছে সরকার

Previous article

সিম্ফনির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হলেন বুবলি

Next article

You may also like

Comments

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *