ব্যবসা-বাণিজ্যশীর্ষ সংবাদ

দেশে ইনসুলেটরের চাহিদা ২০ হাজার টন, আমদানি ৯০ শতাংশ

1
ইনসুলেটরের চাহিদা

বিদ্যুৎ সঞ্চালন ব্যবস্থায় ইনসুলেটর এমন একটি উপাদান যা খুঁটিকে বিদ্যুৎ অপরিবাহী রেখে বিদ্যুৎ পরিবহনে সহায়তা করে। এছাড়া বুশিং ট্রান্সফরমার তৈরিতে এটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

বর্তমানে দেশের বিদ্যুৎ খাতে ইনসুলেটরের চাহিদা প্রায় ২০ হাজার টন। যার বাজারমূল্য প্রায় ৪৫০ কোটি টাকা। তবে উৎপাদন হয় দুই হাজার টনেরও কম।

যার ফলে দেশের বিদ্যুৎ খাতে চাহিদার ১০ শতাংশও পূরণ হয় না উৎপাদিত ইনসুলেটরের মাধ্যমে। বাকি প্রায় ১৮ হাজার টন বা ৯০ শতাংশ চীন ও ভারত থেকে আমদানি করা হয়।

দেশে মাত্র দুটি প্রতিষ্ঠান ইনসুলেটর উৎপাদন করে। এর মধ্যে একটি রাষ্ট্রমালিকানাধীন বাংলাদেশ ইনসুলেটর অ্যান্ড স্যানিটারিওয়্যার ফ্যাক্টরি লিমিটেড (বিআইএসএফ)। অন্যটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান দিরান ইনসুলেটর ফ্যাক্টরি লিমিটেড।

আরও পড়ুন: ‘গুলশান আবাসন মেলা ২০২২’ শুরু বুধবার

প্রতিষ্ঠান দুটি মাত্র দশমিক ৪ থেকে ৩৩ কিলোভোল্টের ইনসুলেটর উৎপাদন করতে পারে। কিন্তু দেশে ৪০০-৫০০ কিলোভোল্ট ইনসুলেটরের চাহিদাও রয়েছে।

বিআইএসএফের বাণিজ্যিক বিভাগ সূত্রে জানা যায়, ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রতিষ্ঠানটি ৯৬৯ দশমিক ১৬ টন ইনসুলেটর বিক্রি করেছে, যার বিক্রয়মূল্য ২১ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। আর এখান থেকে সরকারকে ভ্যাট দিয়েছে ২ কোটি ৮২ লাখ টাকা।

এছাড়া ২০২০-২১ অর্থবছরে ইনসুলেটর বিক্রি করেছে ৮১৭ দশমিক ৭৩ টন, যার বিক্রয়মূল্য ছিল প্রায় ১৫ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। এখান থেকে সরকারকে ভ্যাট দিয়েছে ২ কোটি টাকা।

প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আবুল ফয়েজ মো. হাবিবুর রহমান বলেন, বিআইএসএফের যন্ত্রপাতি প্রতিস্থাপন করা হলে বিআইএসএফএল দেশের স্যানিটারি এবং ইনসুলেটরের বাজার চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় করতে পারবে।

‘গুলশান আবাসন মেলা ২০২২’ শুরু বুধবার

Previous article

৯৮ ভরি স্বর্ণ লুটের মামলায় পুলিশ কনস্টেবলসহ গ্রেফতার ৮

Next article

You may also like

1 Comment

  1. […] আরও পড়ুনঃ দেশে ইনসুলেটরের চাহিদা ২০ হাজার টন, আম… […]

Leave a reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *