জাতীয়ব্যবসা-বাণিজ্য বাড়তে পারে ইন্টারনেট খরচ By নিজস্ব প্রতিবেদক June 8, 20220 ShareTweet 0 আসছে বাজেটে বাড়তে পারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহারের খরচ। মোবাইলে ভয়েস কল ও এসএমএস থেকে রাজস্ব কমায়, ইন্টারনেটে বাড়তি কর আরোপের পরিকল্পনা করছে এনবিআর। সেক্ষেত্রে ভোক্তার ঘাড়ে পড়বে বাড়তি ভ্যাটও। কর বাড়লে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হবে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। আসছে বাজেটে ২০০ টাকা সিম ট্যাক্স প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে মোবাইল অপারেটররা। একই সঙ্গে করপোরেট করহার ৩২ শতাংশে নামিয়ে আনার দাবি তাদের। বর্তমানে কথা বলা কিংবা তথ্য আদান-প্রদানে হোয়াটসঅ্যাপ ও ম্যাসেঞ্জারসহ বিভিন্ন অ্যাপের ব্যবহার ক্রমেই বাড়ছে। এতে মুঠোফোনে টকটাইম কিংবা এসএমএস থেকে কমছে রাজস্ব আয়। এ অবস্থায় অ্যাপের মাধ্যমে কথা বলা কিংবা তথ্য আদান-প্রদান থেকে রাজস্ব আদায়ে নজর দিচ্ছে এনবিআর। দেশে ৩ হাজার ৪০০ জিবিপিএসের বেশি ব্যান্ডউইথ ব্যবহার হচ্ছে বর্তমানে। আইএসপি সূত্র বলছে, আসছে ২০২২-২৩ অর্থবছরের বাজেটে সেবাদাতাদের কেনা ইন্টারনেটের উপর বাড়তি কর আরোপ করা হতে পারে। বর্তমানে আইএসপিগুলো ইন্টারনেট কেনা থেকে গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছাতে তিনটি স্তরে ৫ শতাংশ করে মোট ১৫ শতাংশ ভ্যাট দেয়। তবে আগামী বাজেটে গ্রাহক পর্যায়ের ভ্যাট ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১০ শতাংশ করা হতে পারে। মেট্রোনেট বাংলাদেশ লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আলমাস কবীর এ ব্যাপারে বলেন, ভ্যাট বাড়ানোর ব্যাপারে শুনেছি। বর্তমানে দেশে ৫-৬ লাখ ফ্রিল্যান্সার রয়েছেন যারা ইন্টারনেট ব্যবহার করে তাদের কাজটি করে থাকেন। তাদের মাধ্যমে দেশে কর্মসংস্থান হচ্ছে, আসছে বৈদেশিক মুদ্রা। এ মুহূর্তে ইন্টারনেটের উপরে বাড়তি কর চাপিয়ে দিলে এ খাতে একটি চাপের সৃষ্টি হবে। প্রযুক্তিবিদরা বলছেন, উন্নত বিশ্বে গড়ে ৬০-৭০ শতাংশ মানুষ ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট ব্যবহার করে। সেখানে বাংলাদেশে ব্যবহার করেন প্রায় ৬ শতাংশ মানুষ। কর বাড়লে প্রান্তিক পর্যায়ে ইন্টারনেট সেবা সম্প্রসারণ বাধাগ্রস্ত হবে। প্রযুক্তিবিদ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, ইন্টারনেট সেবার উপর বাড়তি কর আরোপ করে কতটুকু রাজস্ব আসবে সেটি বলা মুশকিল। তবে এটা সহজেই অনুমেয় যে, এ মুহূর্তে ইন্টারনেটের উপর কর চাপিয়ে দিলে ভোক্তাদের ঝামেলায় পড়তে হবে। ইন্টারনেট ব্যবহারের জন্য গুনতে হবে বাড়তি টাকা। বর্তমানে মোবাইল সেবায় ভ্যাট ও সম্পূরক শুল্ক মিলিয়ে ১০০ টাকার কথা বলায় ৩৩ দশমিক ২৫ টাকা এবং ডেটা ব্যবহারে প্রায় ২২ টাকা কর দিতে হয় ১৭ কোটি গ্রাহককে। একটি সিম কিনতে ব্যয় হয় ২০০ টাকা। যা কমানোর দাবি মুঠোফোন অপারেটরদের। বাংলালিংকের প্রধান করপোরেট ও রেগুলেটরি অফিসার তাইমুর রহমান বলেন, সিম ট্যাক্স কমানো উচিত। আমাদের করপোরেট ট্যাক্স দিতে হয় ৪৫ শতাংশ, যেটি অন্য কোনো শিল্পখাতে নেই। বিটিআরসির হিসাবে সারা দেশে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা দিচ্ছে প্রায় দুই হাজার প্রতিষ্ঠান। আর মুঠোফোন সেবা দিচ্ছে সরকারি-বেসরকারি চার অপারেটর।
জাকের পার্টির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব খাজা মোস্তফা আমীর ফয়সল মুজাদ্দেদীর পক্ষ থেকে অসহায় দুঃস্থ মানুষের মাঝে ঈদ উপহার বিতরণ March 29, 2025196 views
এমবিবিএস-বিডিএস ডিগ্রি ছাড়া নামের আগে ডাক্তার ব্যবহার করা যাবে না : হাইকোর্ট March 13, 2025132 views
ই-ক্যাব ইয়ুথ ফোরামের হাত ধরে শান্ত মারিয়াম ইউনিভার্সিটিতে যাত্রা শুরু হতে যাচ্ছে ই-কমার্স ক্লাবের February 8, 20231900 views